বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে দেশে মোবাইল ফোনের মোট গ্রাহক দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ৬৯ হাজার। এর মধ্যে গ্রামীণ ফোন বা জিপির গ্রাহক সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে অপারেটটির গ্রাহক সংখ্যা ছয় কোটি ৬৪ লাখ ৬৬ হাজার। এক মাস আগেও অপারেটিরটির গ্রাহক ছিল ছয় কোটি ৫৮ লাখ ৬৬ হাজার। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে কিছু গ্রাহক কমেছিল গ্রামীণফোনের। এরপর টানা ১৬ মাস কেবল গ্রাহক বাড়িয়েই চলেছে অপারেটরটি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) দেশে মোবাইল গ্রাহকের মোট সংখ্যা এবং অপারেটর ভিত্তিক যে হিসাব প্রকাশ করেছে সেখানে এই তথ্য দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার কমিশন ফেব্রুয়ারি মাসের গ্রাহকের হিসাব প্রকাশ করেছে। জিপি ছাড়া দ্বিতীয় শীর্ষ অপারেটর রবি আজিয়াটার গ্রাহক চার কোটি ৫৫ লাখ ৯৫ হাজার, বাংলালিংকের তিন কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার এবং সরকারি অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার। গ্রামীণফোনের পাশাপাশি রবি, বাংলালিংক জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক কিছুটা বাড়াতে সক্ষম হলেও টেলিটকের গ্রাহক কমেছে পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার। গ্রামীণফোন যে ২০১৬ সালের আগস্ট থেকে গ্রাহক বাড়িয়ে চলেছে তার পাশাপাশি অন্য অপারেটরদের গ্রাহক কখনো কখনো কমেছে আবার কখনো বেড়েছে। ২০১৭ সালের মার্চে রবি এবং এয়ারটেল একীভূত হয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম অপারেটর হয়। তখন তাদের মিলিত গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় তিন কোটি ৬২ লাখ। আর বাংলালিংক তৃতীয় বৃহত্তম অপারেটর হয়ে যায়। তখন তাদের গ্রাহক ছিল তিন কোটি ১২ লাখ ৬৫ হাজার।১৬ মাস আগে গ্রামীণফোনের গ্রাহক কমার কারণ ছিল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন। সেই ভেরিফিকেশনের পর আরো ৯০ দিন অনেক সংযোগ চালু ছিল। কিন্তু জুন মাসে বায়োমেট্রেক ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হওয়ার পর তার প্রভাব পড়ে ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে। ফলে তখন সব অপারেটরই তাদের গ্রাহক হারিয়েছিল।
previous post