এখন চার্জার হারানো বা নষ্ট হওয়ার ঘটনা খুব বেশি ঘটে। তাই চার্জার কেনাটাও দরকার হয়। কিন্তু ভেজাল আর নকলের ভিড়ে আসল চার্জার বা ভুয়া চার্জারের সঙ্গে পার্থক্য করবেন কিভাবে। আসল চার্জার মানে ব্র্যান্ডের সেটের সঙ্গে থাকা প্রকৃত চার্জার। কিন্তু নকলের ছড়াছড়িতে আসল-নকল বোঝা দায়। নকল চার্জারের বিপদ তো সবাই জানেন। আগুন লাগা, পুড়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেট বাস্ট হতে পারে। এমনকি আপানর জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে পারে নকল চার্জার। নকল চার্জারের কারণে মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে মোবাইল সেট এবং ব্যবহারকারী। ফোন নষ্টের ছাড়াও নকল চার্জারে বৈদ্যুতিক শক খাওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
নকল চার্জার চেনার উপায় :
১. চার্জার সকেট বা মাল্টিপ্লাগের প্লাগের ঢোকানোর পর যদি ঠিকভাবে খাপ না খায় ধরে নিতে হবে পিনগুলো ভুল আকারে বানানো। পিনের আর চার্জারের মধ্যে অন্তত ৯.৫ মিলিমিটার জায়গা থাকতে হবে। এমন না হলে ধরে নিতে হবে চার্জারটি নকল।
২. কেনার আগে চার্জারের গায়ে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের নাম বা লোগো, মডেল, ব্যাচ নম্বর যাচাই করতে হবে। তবে এগুলো থাকলেই যে আসল হবে এমনটাও ঠিক নয়। কারণ এসবও সহজেই নকল করা যায়।
৩. নিরাপদে চার্জার ব্যবহারের নির্দেশনা থাকতে হবে।
৪. চার্জারের গায়ে এ+ বা মেড ইন চায়না লেখা থাকলে ধরে নিতে হবে এটা চীনে তৈরি চার্জার বা লোকাল চার্জার যা কোথাও তৈরি করে স্টিকার লাগানো হয়ছে।ে
৫. খুব কাজ থেকে চার্জারের পিনগুলো লক্ষ্য করলেই আসল-নকলের তফাত বোঝা যাবে।
৬. নকল চার্জার দিয়ে দিনে ২-৩ বার চার্জ দিলেই খুব দ্রুত তা গরম হয়ে যায়। আসল চার্জারের ক্ষেত্রে দ্রুত গরম হয় না।
৭. কিছু কিছু ক্ষেত্রে চার্জার আসল হলেও ইউএসবি কেবল নকল থাকে। কাজে কেনার সময় সাবধান।
৮. চার্জ দেওয়ার পর ফোন অতিরিক্ত গরম হচ্ছে কিনা খেয়াল করুন।
৯. চার্জার থেকে কোনো গন্ধ পাচ্ছেন কিনা দেখুন। পোড়া গন্ধ পেলে ভেতরে সমস্যা আছে।
১০. চার্জার কেনার সময় গঠন লক্ষ্য করুন। এবড়োখেবড়ো চার্জার মানেই নকল চার্জার।