অনেক নতুন ও বিশেষ সুবিধাসহ পাঠাও তাদের অ্যাপের সংস্করণ ২.০ নিয়ে এসেছে। পাঠাও ফুড এখন ঢাকার যেকোনো স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে। তাদের রেস্টুরেন্ট তালিকায় ঢাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় খাদ্যসম্ভার সমূহের নাম থেকে শুরু করে স্টার কাবাবসহ হাজার হাজার ছোট ও বড় রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এই তালিকায় আছে সিপি’র মতো ক্ষুদ্রাকার ফ্র্যাঞ্চাইজও।
কাছাকাছি দূরত্বে যে সব রেস্টুরেন্টে ঝালমুড়ি, মিষ্টি বা চটপটি পাওয়া যায়, সেগুলোও সরবরাহ করছে পাঠাও। তিন চার কিলোমিটারের মধ্যে সাইক্লিস্টদের একটি সক্রিয় গ্রুপ রয়েছে। যারা সর্বদা প্রস্তুত থাকে রেস্টুরেন্টের খাবার অর্ডার দিয়ে তাদের পক্ষে যত দ্রুততম সময়ে তা নিয়ে গ্রাহকের ঠিকানায় রওনা হওয়া যায়- সে ব্যাপারে।
পাঠাও ফুড- এর দ্বিতীয় এই সংস্করণটি এমনভাবে তৈরি যাতে খাবার খুঁজে বের করার অভিজ্ঞতা আরও আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। পাঠাও ফুড অ্যাপটি খুললেই থাকছে ডিসকভারি পেজ। অ্যাপের ডিজাইনে পরিবর্তন আনার কারনে অ্যাপটি চালানো এখন আরও অনেক সহজ হবে।
পাঠাও ফুডের নতুন ফিচারগুলোর একটি হচ্ছে ‘কালেকশনস’। এই কালেকশনে থাকছে ব্যবহারকারীর পছন্দের রেস্টুরেন্টসমুহ এবং এর সঙ্গে থাকছে নতুন রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে পরামর্শ। এই অ্যাপ বিভিন্ন স্থানের রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের অবগত করবে এবং ইতিমধ্যে পাঠাও ব্যবহারকারীদের মধ্যে জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টসমূহের তালিকা সরবরাহ করবে।
এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে, ব্যবহারকারীদের নতুন এবং আকর্ষণীয় অফারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। সহজভাবে রেস্টুরেন্ট খুঁজে বের করার জন্য ব্যবহারকারীর পছন্দের খাবারের রেস্টুরেন্টগুলোকে একসঙ্গে গ্রুপে রাখা হবে। নতুন খাবার খুঁজে বের করার সময় ব্যবহারকারীরা অন্য ব্যবহারকারীদের সবচেয়ে বেশি সন্ধান করা রেস্টুরেন্ট/খাবার দেখতে পারবেন। এটি একটি রেকোমেন্ডেশন টুল হিসেবে কাজ করবে, যা খাবার সন্ধান অভিজ্ঞতাকে আরো আনান্দদায়ক করে তুলবে।
পাঠাও এর সিইও হুসেইন এম ইলিয়াস জানান, ‘ট্রাফিককে হার মানানো থেকে শুরু করে ক্ষুধা মেটানো পর্যন্ত’ আমরা সবসময় চেষ্টা করছি আমাদের অ্যাপ ব্যবহারকারীদের জীবনকে আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে। এই নতুন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আমরা শুধু খাদ্যরসিকদের চাহিদার যোগান দিচ্ছি না, সঙ্গে হাজার হাজার পাঠাও রাইডারদের জীবিকার ব্যবস্থা করছি এবং অসংখ্য ফুড আউটলেটের ব্যবসায় টিকে থাকারও সুযোগ করে দিচ্ছি। পাঠাও ফুড একটি স্থানীয় সল্যুশন, যা স্থানীয় মানুষদের দিয়ে তৈরি স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসার জন্য।’ পাঠাও এর উদ্যোগ সমূহ নিঃসন্দেহে দেশের জন্য কল্যানকর কারন সেবার পাশাপাশি তারা কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থাও করে দিচ্ছে।