এইচএমডি গ্লোবাল, নোকিয়া ব্র্যান্ড ফোনের নির্মাণ সংস্থা বাংলাদেশের বাজারে ‘নোকিয়া ২.৩’ মডেলের স্মার্টফোন ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে। একইসাথে, ‘নোকিয়া ৮০০ টাফ’ ফোনটিও আগামীকাল থেকে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে বলেও ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ(১৬ই জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় নোকিয়ার ফোন স্টলে নতুন স্মার্টফোনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ও প্রযোজক ফেরদৌস আহমেদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এইচএমডি গ্লোবাল বাংলাদেশ–এর হেড অব মার্কেটিং, ইফফাত জহুর; এইচএমডি গ্লোবাল–এর হেড অব সেলস অপারেশন, মোজাম্মেল খানসহ এইচএমডি গ্লোবাল ও সিএমপিএল–এর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
‘নোকিয়া ২.৩’ মডেলের স্মার্টফোনটিতে রয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরা, যা ব্যাবহারকারীকে সেরা ছবি তোলার অভিজ্ঞতা দিবে। পাশাপাশি স্মার্টফোনটির দু’দিনের ব্যাটারি লাইফ এবং ৬.২ ইঞ্চির এইচডি+ স্ক্রিন বহুমাত্রিক বিনোদনও দীর্ঘস্থায়ী করার সুযোগ করে দিবে। আর সময়ের সাথে সাথে স্মার্টফোনটিকে আরো অত্যাধুনিক করে তুলতে অ্যান্ড্রয়েড™১০ ব্যাবহার করা ‘নোকিয়া ২.৩’তে গ্রাহকরা পাচ্ছেন তিন বছরের মাসিক সিকিউরিটি আপডেট এবং দুই বছরের অপারেটিং সিস্টেম(ও এস)আপডেট–এর প্রতিশ্রুতি। দেশের বাজারে আগামীকাল থেকে মাত্র ১০,৯৯৯ টাকায় তিনটি ভিন্ন কালারে (সায়ান গ্রীন, স্যান্ড ও চারকোল) পাওয়া যাবে নোকিয়ার নতুন এ স্মার্টফোনটি।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে ‘নোকিয়া ৮০০ টাফ’ বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছিল এইচএমডি গ্লোবাল। শীর্ষস্থানীয় ফিচার ফোন পোর্টফোলিওতে যোগ হতে যাওয়া ‘নোকিয়া ৮০০ টাফ’ হলো এইচএমডি গ্লোবাল–এর প্রথম মজবুত ফিচার ফোন। স্থায়িত্ব ও ব্যাটারি লাইফের দিক থেকে ‘বেঞ্চমার্ক’ বলে দাবিকৃত এই ফোনটিতে ব্যবহারকারীদের জন্যে সংযুক্ত করা হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় আধুনিক ফিচার যেমন গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ৪জি ব্যবহারের সক্ষমতা এবং ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপসহ বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাপ। ‘নোকিয়া ৮০০ টাফ’ ফোনটি ডেসার্ট স্যান্ড কালারে আগামীকাল থেকে মাত্র ১০,২৫০ টাকায় সারদেশে পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশের এইচএমডি গ্লোবাল বাংলাদেশ–এর হেড অব মার্কেটিং, ইফফাত জহুর বলেন, “বিশ্বজুড়েই ‘নোকিয়া ২’ সিরিজের ফোনগুলো গ্রাহকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের গ্রাহকরা ‘নোকিয়া ২.৩’ ফোনটিও ভীষণ পছন্দ করবেন এর এআই, বড় স্ক্রিন এবং দুই দিনের ব্যাটারি লাইফের প্রতিশ্রুতি সাশ্রয়ীমূল্যে পাবার কারণে। সর্বোপরি দুই বছরের ও এস আপগ্রেড এবং তিন বছরের মাসিক সুরক্ষা আপডেটের সুবিধার কারণে এই ফোনটি বাজারের সেরা ফোনগুলোর একটি হিসেবে বিবেচ্য হবে”।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জনাব ফেরদৌস আহমেদ বলেন, “আমি সবসময়ই নোকিয়া ফোনের একজন ভক্ত। এই অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে আর সেইসাথে বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য, আকর্ষণীয় এই নতুন ফোনটি উন্মোচন করার সুযোগ দিয়ে আমাকে সম্মানিত করায় আমি ভীষণ আনন্দিত”।
সদ্য উন্মোচিত হওয়া ‘নোকিয়া ২.৩’–এর ডুয়েল ক্যামেরা এবং এর ‘রিকমেন্ডেড শট’ অপশন নোকিয়া ফোনের একদম নতুন একটি ফিচার, যা ব্যবহারকারীকে সেরা ছবি বেছে নিতে সাহায্য করবে। ‘রিকমেন্ডেড শট’ অপশনটি স্বয়ক্রিয়ভাবে শাটার প্রেসের আগে ও পরে অলটারনেটিভ ছবি ক্যাপচার করবে এবং সেরা ছবিটির পরামর্শ দিবে। পোর্ট্রেট মোড এবং লো–লাইট ইমেজিং মোডের মতো আরও অনেকগুলি এআই–নিয়ন্ত্রিত সুবিধা রয়েছে এ ফোনটিতে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সেটিংস ব্যবহার করে ক্রিয়েটিভ ছবি তুলতে পারবেন।
‘নোকিয়া ২.৩’ ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ডেডিকেটেড গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট বাটন যা ব্যবহারকারীকে মূল্যবান সময় বাঁচাতে সাহায্য করে।ব্যবহারকারী তাঁর ভয়েস ব্যবহার করেই দেখতে পারবেন ক্যালেন্ডার এন্ট্রি, ভ্রমণের সময় এবং অন্যান্য তথ্য। এছাড়াও ‘নোকিয়া ২.৩’ ফোনটিতে আছে বায়োমেট্রিক ফেইস রিকগনেশন, যার মাধ্যমে এক নজরে ডিভাইসটি আনলক করা যাবে।
আপনার সৃজনশীলতা বের করে আনবে
‘নোকিয়া ২.৩’তে ‘পোট্রেট মোড’ রাখা হয়েছে। যা আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডকে হালকা ব্লার করে দিয়ে সাবজেক্টকে ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে সুন্দর পোট্রেট ছবি তুলে দিবে। ছবি তোলার পর গুগল ফটোস ব্যবহার করে ছবির ব্লারটি মনের মতো করে সমন্বয় করাও যাবে। ফোনের ১৩এমপি/২এমপি ডুয়েল ক্যামেরা দিয়ে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ধরনের এক্সক্লুসিভ বোকেহ বা ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার এফেক্ট ব্যবহার করে ক্লাসিক, বাটারফ্লাই, হার্ট বা স্টার–আকৃতির পোট্রেট ছবি তুলতে পারবেন। সেই সাথে ছবি সম্পাদনার সময় ফোকাস সামঞ্জস্য করে পেশাদারদের মতো চোখ ধাঁধানো ছবি তুলে নিতে পারবেন। এই ডিভাইসটিতে উন্নত মানের ছবি ফিউশন এবং এক্সপোজার স্ট্যাকিংয়ের (ভিন্ন ধরনের আলোর সেটিংসের অনেকগুলো ছবি তোলা এবং এগুলোকে একসাথে ব্লেন্ডিং করা) সংমিশ্রণ ঘটানো হয়েছে, যাতে আপনি স্বল্প–আলোতেও প্রাণবন্ত ছবিগুলো তুলতে পারেন।
দীর্ঘস্থায়ী, বহুমাত্রিক বিনোদন
এআই–অ্যাসিস্টেড অ্যাডাপটিভ ব্যাটারি প্রযুক্তির ‘নোকিয়া ২.৩’এর দুই দিনের ব্যাটারি লাইফের মাধ্যমে আপনার দিনটি কর্মচঞ্চল করে তুলুন। ডিভাইসটি আপনার অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের অভ্যাস সম্পর্কে জানাবে যার ফলে আপনি ফোনটি ব্যবহার করতে পারবেন দীর্ঘ সময়ের জন্য এবং হারিয়ে যেতে পারেন আপনার প্রিয় সিরিজ বা সিনেমায়। এই ৬.২ এইচডি+ স্ক্রিনের মাধ্যমে জীবনকে করে তুলুন প্রাণবন্ত।
নিত্য প্রয়োজনের সাথে মার্জিত নকশা
নর্ডিক ডিজাইনের ঐতিহ্যে অনুপ্রাণিত হয়ে, ‘নোকিয়া ২.৩’তে শুধু নান্দনিকতা দেওয়া হয়নি সেই সাথে স্থায়িত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ফোনটিতে ৩ডি ন্যানো–টেক্সচার কভার ফিচারযুক্ত করা হয়েছে, যা ফোনটিকে রাখবে সুরক্ষিত এবং এর অত্যাশ্চর্য ফিনিশিং গ্রাহকের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। উন্নত স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে ফোনটির পিছন দিকে কোন প্রকার বাম্প ছাড়াই ডুয়েল ক্যামেরা ও ফ্ল্যাশ একীভূত করা সম্ভব হয়েছে। অভ্যন্তরীণ উচ্চ–মানের ডায়িকাস্ট অ্যালুমিনিয়াম চ্যাসিসের ব্যবহৃত কাঠামোটি ফোনটিকে সুরক্ষিত এবং মজবুত করে তুলেছে।
সময়ের সাথে আরও ভালো অভিজ্ঞতা দেওয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টা
‘নোকিয়া ২.৩’ স্মার্টফোনটিতে সময়ের সাথে সাথে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরো ভাল অভিজ্ঞতা দিতে অ্যান্ড্রয়েড–১০ রেডি অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। ফোনটিতে তিন বছরের মাসিক সুরক্ষা আপডেট এবং দুই বছরের ওএস আপডেট দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ফলে আপনার বিনিয়োগের ভবিষ্যত হবে সুরক্ষিত।অ্যান্ড্রয়েড–১০এর সর্বশেষ ফিচারগুলোর মধ্য থেকে ডার্ক থিম ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ব্যাটারি সংরক্ষণ করার পাশাপাশি ভিজিবিলিটি বাড়ানোর সুযোগ পাবে। পাশাপাশি আপডেট হওয়ার সাথে সাথে বর্ধিত গোপনীয়তাসহ আরো অনেক কিছুর সুবিধা পাওয়া যাবে।
নোকিয়া ৮০০ টাফ: মজবুত ও ব্যাটারি লাইফের নতুন হলমার্ক
বাজারের শীর্ষস্থানীয় ফিচার ফোন পোর্টফোলিওতে যোগ হতে যাওয়া ‘নোকিয়া ৮০০ টাফ’ হলো এইচএমডি গ্লোবালের প্রথম মজবুত ফিচার ফোন। যা বিশ্বজুড়ে স্থায়িত্ব ও ব্যাটারি লাইফের দিক থেকে ব্যবহারকারীদের একটি নতুন দিগন্তে নিয়ে যাবে। ‘নোকিয়া ৮০০ টাফ’ শুধুমাত্র পানি ও ধূলা নিরোধীই নয়, সেইসাথে হাত থেকে পরে যাওয়া থেকে রক্ষা করা, চরম তাপমাত্রা সহ্য করার সক্ষমতা দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে এটিকে দুঃসাহসিক ভ্রমণের আদর্শ সঙ্গী হিসাবে যে কেউ নিতে পারেন। এই ফোনটিতে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন, ৪জি সংযোগ এবং আরো অনেক আধুনিক ফিচার ব্যবহারকারীদের জন্যে সংযুক্ত করা হয়েছে। ‘নোকিয়া ৮০০ টাফ’-এর সাহায্যে, এইচএমডি গ্লোবাল গ্রাহকদের মধ্যে নতুন ফিচার পৌঁছানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে বি২বি এবং এন্টারপ্রাইজ কাস্টমারদের হাতে টেকসই হ্যান্ডসেট প্রদানের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি যারা অফিসের বাইরের কাজের জন্য ফোন খুঁজছেন তদের জন্য ‘নোকিয়া ৮০০ টাফ’ একটি নির্ভরযোগ্য ফোন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন এইচএমডি প্রেস অফিস: maswood@northbrookconsultants.com
এইচএমডি গ্লোবাল সম্পর্কে:
নোকিয়া ফোনের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এইচএমডি গ্লোবালের হেডকোয়ার্টার ফিনল্যান্ডের এসপোতে অবস্থিত। নির্দিষ্ট ভোক্তা ও মূল্যকে লক্ষ্য করে এইচএমডি বাজারে স্মার্টফোন ও ফিচার ফোন নিয়ে আসে।উদ্ভাবন ও মানের প্রতিশ্রুতিতে এইচএমডি নোকিয়া ফোন ও ট্যাবলেট ব্র্যান্ডের এক্সক্লুসিভ লাইসেন্সের গর্বিত অধিকারী।আরও তথ্যের জন্য ভিজিট করুনঃ www.hmdglobal.com.
নোকিয়া কর্পোরেশনের নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক হচ্ছে নোকিয়া।গুগল এলএলসি-এর ট্রেডমার্ক হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড, গুগল এবং অন্যান্য সম্পর্কিত ট্রেডমার্ক এবং লোগো। সকল স্পেসিফিকেশন, বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য পণ্য সম্পর্কিত তথ্য বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে প্রতিষ্ঠানটি। অফারের বিভিন্নতাও প্রয়োগ করতে পারে।