চাকরিদাতা ও প্রার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দিতে চালু হলো ‘কর্ম’। অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে সেবাটি ব্যবহার করা যাবে। চিরাচরিত চাকরির পোর্টালের সঙ্গে কর্মের পার্থক্য হলো, মূলত অপ্রাতিষ্ঠানিক চাকরির বাজার (মার্কেটপ্লেস) হিসেবে কাজ করবে এটি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন কর্মের প্রকল্পপ্রধান বিকি রাসেল।
কর্মের দুটি অংশ। একটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য, আরেকটি চাকরিদাতাদের জন্য। চাকরিপ্রার্থীরা নিবন্ধনের পর নিজের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা যোগ করলে সে অনুযায়ী কাজের খোঁজ পাবেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এ কাজে ব্যবহার করা হবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর চাকরিপ্রার্থী একবার নিজের প্রোফাইল তৈরি করে রাখলে যেকোনো কাজে একটি বোতাম চেপেই কাজে আবেদন করতে পারবেন। আবার যখন ইচ্ছা এক পাতার সিভি নামিয়ে নিতে পারবেন। দুপক্ষই অভিজ্ঞতা অনুযায়ী একে অপরের সম্পর্কে পর্যালোচনা (রেটিং) জানানোর সুযোগ পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কর্ম নিয়মিতভাবে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং চাকরির পোস্ট পরিপূর্ণ করতে সাহায্য করে।
গুগলের ‘এরিয়া ১২০’-এর প্রকল্প হিসেবে দুই বছর আগে ঢাকায় চালু হয় কর্ম। এক বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহারকারীদের নিয়ে কাজ শুরু করেছে এটি। বর্তমানে কর্মের কর্মী ১২ জন। আর অ্যাপটির মাধ্যমে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি নিয়োগদাতা ২১ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন বলে জানান বিকি রাসেল। সম্মেলনে আরও বক্তৃতা করেন ব্র্যাকের যোগাযোগ ও আউটরিচ পরিচালক মৌটুসী কবির।
www.kormo.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে কর্মীর সেবা ব্যবহার কিংবা অ্যাপ নামানো যাবে।