বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতা স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স ২০২০ সালের মধ্যে আমেরিকা, ইউরোপ এবং চায়নায় অবস্থিত তাদের সকল কার্যকর স্থাপনায় ১০০% নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করার ঘোষণা দিয়েছে। স্থাপনাগুলোর মধ্যে থাকবে স্যামসাং পরিচালিত কারখানা, অফিস ভবন এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র।
বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষায় স্যামসাংয়ের দায়িত্ববোধ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অধিক নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের ফলে পৃথিবীতে ক্ষতিকর নির্গমন হ্রাস পাবে ফলে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ নিশ্চিত হবে। স্যামসাং বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে চায়, যা ২০২০ সালের মধ্যে ৩.১ গিগা ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে উৎপাদিত হবে। এই লক্ষ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে স্যামসাং, ওয়ার্ল্ড ওয়্যাইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ)-এর নবায়নযোগ্য শক্তি ক্রয়কারী নীতিমালা এবং রকি মাউন্টেন ইন্সটিটিউটের সাথে যুক্ত হয়েছে।
স্যামসাংয়ের কোরিয়ায় অবস্থিত ক্যাম্পাসগুলোর ৬৩,০০০ বর্গমিটার এলাকাজুড়ে কয়েকটি সোলার প্যানেল (সৌর বিদ্যুৎ) ও জিওথার্মাল পাওয়ার জেনারেশন কেন্দ্র স্থাপন করার মাধ্যমে এই বছর থেকেই তাদের পরিকল্পনাটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে কোরিয়ায় নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার ২০ শতাংশ বৃদ্ধির যে লক্ষ্য কোরিয়ান সরকার গ্রহণ করেছে সেটি বাস্তবায়নে এই প্রচেষ্টা সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
স্যামসাং বিশ্বব্যপী নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আগামী বছর কার্বন ডিসক্লোজার প্রোজেক্ট সাপ্লাই চেইন প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হয়ে স্যামসাং তাদের টপ ১০০ পার্টনার কোম্পানির সাথে কাজ করবে। যা বিশ্বব্যপী নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা পূরনে ভূমিকা রাখবে।