বর্তমান মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ বা এমএনপি সেবা চালুতে সর্বশেষ অগ্রগতি হল নানা চড়াই উতরাইয়ের পরে বড় তিন অপারেটর এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন যুক্ত হয়েছে বাংলালিংক। এর আগে সবার প্রথমে গ্রামীণফোন এবং পরে রবি’ও যুক্ত হয়। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি টেলিটক এখনো এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রথম দিকে ‘কারিগরি নির্দেশনা’ না পাওয়া সব নানা প্রযুক্তিগত জটিলতাকে সামনে এনে মোবাইল অপারেটরগুলো এটিকে বিলম্ব করার চেষ্টা করছিল। পরে অবশ্য টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কড়া অবস্থানের কারণে তারা এই নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।আগামী ১ আগস্ট থেকে সেবাটি বাংলাদেশে চালু হওয়ার কথা। গত দশ বছর ধরে এ বিষয়ে কাজ হচ্ছে। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে সেবাটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন বাংলাদেশের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান এগারো ডিজিটের নম্বরটি অবিকল রেখে অপারেটর বদল করা গেলে মানুষ তখন আর নির্দিষ্ট একটি অপারেটরের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকবে না। ফলে অপারেটরগুলোর মধ্যে ভালো সেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতা বাড়বে। না হলে মানুষ সহজেই অপারেটর পরিবর্তন করে ফেলবে।
গত বছর নভেম্বরে যখন বিটিআরসি ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক নামে একটি কোম্পানিকে লাইসেন্স দেয়, তখন ১৮০ দিনের মধ্যে সেবা চালুর শর্ত ছিল। কোম্পানিটিও মার্চের মধ্যেই সেবা চালু করবে বলে প্রতিশ্রুতিও দেয়। সেবাটি চালু হলে গ্রাহকরা ৩০ টাকা ফি দিয়ে নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার অপারেটর বদলে যাবে। তবে পুনরায় অপারেটর পরিবর্তন করতে হলে তাকে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে একবার নিলাম আহবান করেও শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তার কথা বলে তা বাতিল করা হয়। তারও আগে ২০০৮ সালে প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০০৯ ও ২০১০ সালেও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতেও বিষয়টি কয়েকবার আলোচনার পর এটি বাস্তবায়নের সুপারিশও করেন তারা। ২০১৪ সালে বিটিআরসি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা করে। ওই সময়ও নানা অজুহাত তৈরি করে উদ্যোগটি পিছিয়ে দেতে সক্ষম হয় অপারেটরগুলো।
তথ্যসূত্র:টেকশহর