গ্রামীণফোন লিমিটেড ৭ কোটি ১৪ লক্ষ গ্রাহক এবং আগের বছরের তুলনায় ১১.৮% প্রবৃদ্ধি নিয়ে ২০১৮ সালের তৃতীয় প্রান্তিক শেষ করেছে। ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ হওয়ায় গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কের মোট গ্রাহকের ৫০.৯% এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন।
২০১৮ এর প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আয় হয়েছে ৯৮০১ কোটি টাকা যা আগের বছরের তুলনায় ১.৯% বেশি। গত বছরের তুলনায় ইন্টারনেট থেকে অর্জিত রাজস্ব বেড়েছে ১৯.৫% আর ভয়েস রাজস্ব বেড়েছে ৪.৮% । অ্যাকাউন্টিং পদ্ধতি পরিবর্তনের ফলে গত বছরের তুলনায় মোট রাজস্ব প্রবৃদ্ধি দাড়িয়েছে ৫.১%।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, ‘ ২০১৮ এর তৃতীয় প্রান্তিকে বেশ কিছু নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়েছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইন্টারনেটে ভ্যাট হ্রাস এবং সমন্বিত ফ্লোর ট্যারিফ ‘
তিনি আরো বলেন, ‘এই সময়ে আমরা ৩৮ লক্ষ ৪জি গ্রাহক অর্জন করেছি এবং আমাদের মোট গ্রাহকের অর্ধেকের বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। আমাদের নতুন ভয়েস এবং ডাটা অফার গুলো বাজারে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করছে।’
বছরের প্রথম নয় মাসে ২৬.৬% মার্জিন সহ কর পরবর্তী নেট মুনাফা হয়েছে ২৬০১ কোটি টাকা। এই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৯.৩১ টাকা।
গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিখ ব্রোতেন বলেন, ‘এই সময়ে গ্রামীণফোনের ইবিআইটিডিএ প্রবৃদ্ধি ও মার্জিন ভালো হয়েছে।’
এ বছর গ্রামীণফোন ফোরজি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩০০০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছে। এই প্রান্তিকে কোম্পানি কর, ভ্যাট, শুল্ক, স্পেকট্রাম প্রাপ্তি, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ও লাইসেন্স ফি বাবদ সরকারি কোষাগারে ২১০৪ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা কোম্পানির মোট রাজস্ব আয়ের ৬২.৪%। সরকারী কোষাগারে এবছরের মোট অবদান ৬৯০১ কোটি টাকা।
এক নজরে গ্রামীণফোনের ২০১৮ এর প্রথম নয় মাস:
- সেপ্টেম্বরের শেষে ৩ কোটি ৬৩ লক্ষ ইন্টারনেট গ্রাহক সহ মোট গ্রাহকসংখ্যা ৭ কোটি ১৪ লক্ষ
- রাজস্ব আয় ৯৮০১ কোটি টাকা, গত বছরের তুলনায় ১.৯% বেশি প্রবৃদ্ধি
- ৪জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩০০০ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ
- এ বছর এখন পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে প্রদান ৬৯০১ কোটি টাকা