ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশের এই অর্জন অনুকরণীয়। ডিজিটাল টেলিকম খাতেরএই অর্জনকে আরও বেগবান করতে নরওয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাংলাদেশে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এর সাথে আজ ঢাকায় ডিজিটাল প্লাটফরমে এক বিদায়ী সাক্ষাতে এসব কথা বলেন।
বৈঠককালে বাংলাদেশ ও নরওয়ে মধ্যকার দ্বি-পক্ষীয় বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় বিশেষ করে বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ দুরযোগে জনগণের ইন্টারনেটসহ নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল টেলিকমসেবা প্রদান, দেশের ৫জি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -২ উৎক্ষেপণ কমর্সূচি এবং দুর্গম অঞ্চল ডিজিটাল নেটওয়ার্কের আওতাভুক্তসহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মত বিনিময় করেন। তারা বলেন, কোভিডকালে পৃথিবীব্যাপী বিচ্ছিন্ন জনজীবনে ডিজিটাল টেলিকম প্রযুক্তি মানুষের জীবন যাত্রা সচল রেখেছে। কোভিড পরবর্ী পৃথিবীতে ডিজিটাল এই প্রযুক্তিকে আরও কিভাবে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানো যায় সেই বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ও নরওয়ে বন্ধু প্রতীম দুটি দেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক তুলে ধরে বলেন, নরওয়ে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নরওয়ের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ নরওয়ের তুলনায় ঘনবসতি দেশ হওয়া সত্বেও সরকারের সঠিক পদক্ষেপের কারণে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তার দীর্ঘ চার বছর চমৎকার কেটেছে বলে মন্ত্রীকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত তার পরবর্ী কমস্থল হিসেবে নরওয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করবেন বলে মন্ত্রীকে জানান। তিনি বাংলাদেশের টেলিকমখাতে নরওয়ের বিনিয়োগকে খুবই আন্তরিকতার সাথে বিবেচনায় নেওয়ায় রাষ্ট্রদূত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিশেষ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত খুবই ভাল সময় অতিবাহিত করেন জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং তার ভবিষ্যত কর্মময় জীবনের সার্ক সফলতা কামনা করেন।
সিডসেল ব্লেকেন বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু প্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে বাংলাদেশের টেলিকমখাতে নরওয়ের বিনিয়োগ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।