আন্তর্জাতিকভাবে নারীদের প্রতি সহিংসতা রোধে ১৬ দিনের কার্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে টেইক ব্যাক দ্যা টেক- বাংলাদেশ চ্যাপ্টার। মূলত নারীর প্রতি অনলাইন সহিংসতা কিংবা সাইবার বুলিং রোধে সচেতনতা তৈরী করতে আয়োজিত হয় এই ক্যাম্পগুলো।
বর্তমানের ডিজিটাল বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি সাহায্যে দ্রুততর হচ্ছে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, বৃদ্ধি পাচ্ছে কাজের পরিধি। নারীরাও পিছিয়ে নেই সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা অনলাইন জগতে। নারীর প্রতি সহিংসতাও তাই বাড়ছে এখানে। এই চিন্তাকে সামনে রেখে বাংলাদেশে পালিত হয় “এন্ড ভায়োলেন্স এগেইনস্ট ওম্যান” সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক কর্মকান্ড। এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে টেইক ব্যাক দ্যা টেক- বাংলাদেশ চ্যাপ্টার। কার্যক্রমের আওতায় ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, আলিফ আইডিয়াল স্কুল, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ আয়োজিত হয় ক্যাম্পেইনগুলো। এবং এর মাঝে একটি ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয় বিডিওএসএন এর গার্লস ইনোভেশন বুটক্যাম্পে মোট ৩০ জন নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে।
পুরো ক্যাম্পেইন জুড়ে প্রায় দেড় শতাধিক নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থী এই ক্যাম্পেইনগুলোতে অংশ নেয়। ক্যাম্পেইনগুলোতে বিভিন্ন সময়ে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশের সাইবার সিকিউরিটি এন্ড ক্রাইম বিভাগের সিনিয়র সহকারি কমিশনার সায়েদ নাসিরুল্লাহ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের YES গ্রুপের মডারেটর ড. মোঃ হারুন-উর-রশিদ, চিফ মডারেটর ড. মোঃ শাহিদুর রশিদ ভুঁইয়া, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ আউটরিচ এন্ড কমিউনিকেশনের ডিরেক্টর শেখ মুহাম্মদ মঞ্জুর-ই-আলম, সমাজকর্মী মো রেজাউল করিম, আপন ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক এম. আতাবুজ্জামান প্রমুখ। ক্যাম্পেইনটি পরিচালনা করেন নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র প্রভাষক এবং টেইক ব্যাক দ্যা টেক বাংলাদেশ চ্যাপ্টার এর প্রধান সমন্বয়ক মাহবুবা সুলতানা এবং সহকারী সমন্বয়ক মুনতাসির মোর্শেদ। সাইবার বুলিং কিংবা নারীর প্রতি অনলাইন সহিংসতা রোধে নারীর সচেতনতা তৈরী ছিল টেইক ব্যাক দ্যা টেক এর মূল লক্ষ্য।