আজ রবিবার বাংলাদেশ শিশু একাডেমির অডিটোরিয়ামে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিক সহায়তা পেতে মোবাইল অ্যাপ ‘জয়’ এর শুভ উদ্বোধন হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের যৌথ আয়োজনে আজ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ অ্যাপ উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি.। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী রওশন আক্তার। পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি রৌশন আরা বেগম, পিপিএম, এনডিসি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, বিপিএম, পিপিএম। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তফা কামাল। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, এনডিসি।
জয় মোবাইল অ্যাপস হলো তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের অধীন এটুআই প্রোগ্রামের অর্থায়নে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের উদ্ভাবিত একটি অ্যাপলিকেশন সফটওয়ার।অ্যাপসটি নির্যাতনের শিকার বা নির্যাতনের আশংকা রয়েছে এমন নারী ও শিশুকে তাৎক্ষনিক সহায়তা প্রদান করার প্রয়াসে উদ্ভাবিত।
যে কোন অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমসম্পন্ন ফোন থেকে গুগল অ্যাপস্টোরের সার্চ অপশনে গিয়ে ‘জয়১০৯’ লিখে সার্চ করে অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। উক্ত অ্যাপের মাধ্যমে নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতনের জরুরী মুহূর্তে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ সুপার, মেট্রো এলাকার উপ-পুলিশ কমিশনার, নির্দিষ্ট ৩টি এফএনএফ নাম্বার এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্প লাইন সেন্টার (১০৯) এ এসএমএস আসবে।
এছাড়া, নির্যাতন/সহিংসতার মুহূর্তে মোবাইলে নির্দিষ্ট ইমার্জেন্সি বাটন চেপে ভিক্টিমের জিপিএস লোকেশন, ছবি এবং অডিও রেকর্ডিং মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে জানানো যাবে। প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে জয় অ্যাপস সেন্টার থেকে সরাসরি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।লিখিত অভিযোগ পাঠানোর জন্য অ্যাপসটির ‘অভিযোগ করুন’ অপশনে গিয়ে অভিযোগের ধরণ বাছাই করে বিবরণসহ অভিযোগ করা যাবে। এছাড়াও ‘সংযুক্তকরুন’ অপশনে ছবি এবং অডিও সংযুক্ত করে প্রেরণ করা যাবে।
অ্যাপস থেকে ধারণকৃত ছবি ও অডিও শুধুমাত্র বাস্তবায়নকারী সংস্থা অর্থাৎ জয় অ্যাপস সেন্টার থেকে দেখা যাবে। সেক্ষেত্রে সম্পুর্ন তথ্য গোপন রাখা হবে।সিস্টেম আপডেটের সঙ্গে সঙ্গে অ্যাপসটি স্বংয়ক্রিয়ভাবে আপডেট হবে। ভিকটিমের তাৎক্ষণিক প্রতিকার প্রদান এবং অপরাধী শনাক্ত করার জন্য অ্যাপসটি একটি কার্যকরী পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য হবে।
উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই জনগনের দোরগোড়ায় সেবা সহজীকরণ ও সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। এছাড়া উদ্ভাবনী সংস্কৃতির মূলধারার সঙ্গে নারীর সম্পৃক্ততা বৃ্দ্ধি এবং নারীর ক্ষমতায়ন, অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে আসছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. আবুল হোসেন প্রকল্প পরিচালক, নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রাম। অনুষ্ঠানে আর ও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, পুলিশ সদর দপ্তর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন, এটুআই প্রোগ্রাম, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীগণ।