টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস-বেসিস এর উদ্যোগে বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহযোগিতায় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ জমকালো পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সফলভাবে শেষ হলো।
এবার বাংলাদেশের ৯টি শহর থেকে দুই হাজারেরও বেশি প্রকল্প জমা পড়ে প্রতিযোগিতায়। সেখান থেকে শীর্ষ ৪০টি প্রকল্পকে নিয়ে ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশে ১৯-২০ অক্টোবর টানা দুইদিনব্যাপী হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
৩৬ ঘন্টা টানা হ্যাকথন আয়োজনের পর ২০ অক্টোবর (শনিবার) রাত আটটায়জমকালোপুরষ্কার বিতরণি অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেনবেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর,জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, বেসিসের সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, পরিচালক তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর আহ্বায়ক ওবেসিস পরিচালক দিদারুল আলম এবং আরিফুল হাসান অপু।
দিদারুল আলম বলেন, এবার ২০০০ প্রকল্প থেকে বাছাই করে সেরা ৪০টি প্রকল্প আমরা নাসার জন্যে মনোনীত করেছি। এবার সেরা ৮টি প্রকল্প আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন,টেকনোলজিস্ট, বৈজ্ঞানিক, ডিজাইনার, আর্টিস্ট, এডুকেটর, উদ্যোক্তা ইত্যাদিসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন বৈশ্বিক সমস্যা সমাধানে ইনোভেটিভ সমাধান খুঁজে বের করাই হল এর মূল লক্ষ্য।
আরিফুল হাসান অপু বলেন, মহাকাশ এর বিভিন্ন সমস্যার বাইরে জলবায়ু,আগ্নেয়গিরি, মঙ্গলগ্রহসহ ৬টি ক্যাটাগরির অধীনে মোট ২০টি সাব ক্যাটাগরিতে এবার হ্যাকথন অনুষ্ঠিত হবে। ক্যাটাগরি ভিত্তিক এসব সমস্যা সমাধানে কাজ করবে আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীরা। গত ৪ বছরের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের অবস্থান এখন অনেক ভালো,আশা করছি ২০১৮তে আমাদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রদূত আজকের তরুণ সমাজ। তারাই আগামী দিনের ডিজিটাল বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে। বিশ্ব পরিমন্ডলে ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা এবং তরুণদের সক্ষমতা তুলে ধরতে বিশ্ব এ নিয়ে চারবার নাসার সাথে যৌথ নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর আয়োজন করলো। গতবছর সেরা ১২০টি প্রকল্পের মধ্যে শীর্ষ দশে বাংলাদেশের দুটি প্রকল্প ছিল। এবার পরিধি আরো বেড়েছে। বাংলাদেশ আরো ভালো করবে এটাই আমার বিশ্বাস।
২০১৮ এর বিজয়ীদের তালিকা:
ঢাকা: টিম গেম চেঞ্জার; রানার্স-আপ: প্ল্যানেট কিট
চট্টগ্রাম: টিম কিউ; রানার্স-আপ: টিম মাত্রা
কুমিল্লা: টিম ফোটন; রানার্স-আপ: টিম মেটা কোডার্স
রংপুর: এইচএসটিইউ মেট্রোয়েড
সিলেট: টিম অলিক