২০১৮ সালে দেশের বাজারে পণ্য বিক্রিতে ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে মার্সেল। আগামি বছর ৮২ শতাংশ বা দ্বিগুণ প্রবৃদ্ধির টার্গেট নেয়া হয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক পরিকল্পনা রয়েছে মার্সেলের। এ বছর প্রতিষ্ঠানটির নতুন লোগো উন্মোচন করা হচ্ছে। আসন্ন ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় থাকছে মার্সেলের সুবিশাল প্যাভিলিয়ন। দেশের অন্যতম শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্র্যান্ড মার্সেলের নতুন পরিবেশকদের নিয়ে দিনব্যাপী সম্মেলনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম।
সোমবার (৫ নভেম্বর, ২০১৮) রাজধানীর মার্সেল করপোরেট অফিসে ‘মিট দ্য নিউ ডিস্ট্রিবিউটরস ২০১৮’ শীর্ষক দিনব্যাপী ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সারা দেশের বিভিন্ন জোন থেকে মার্সেলের দেড় শতাধিক নতুন ডিস্ট্রিবিউটর বা পরিবেশক অংশ নেন। সম্মেলনে নতুন ডিস্ট্রিবিউটরদের ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিপণনের আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়।
এর আগে সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মার্সেলের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রেজভী, পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, এস এম মঞ্জুরুল আলম, জাকিয়া সুলতানা, তাহমিনা আফরোজ তান্না এবং রাইসা সিগমা হিমা।
এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মার্সেলের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, নজরুল ইসলাম সরকার, এসএম জাহিদ হাসান, হুমায়ূন কবীর, মোহাম্মদ রায়হান, উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব) চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী, হেড অব সেলস ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রধান মো. মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক আমিন খান।
অনুষ্ঠানে ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম নুরুল আলম রেজভী বলেন, ২০০৮ সালে মার্সেল তার যাত্রা শুরু করে। খুব দ্রুত ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান করে নিয়েছে, যা দেশ-বিদেশের যে কোনো ব্র্যান্ডের কাছেই অনুকরণীয়। এক সময় আমাদের দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার ছিল আমদানি নির্ভর। আজ ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনে দেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে বিদেশেও। সেদিন আর খুব বেশি দূরে নেই যেদিন বিদেশি কোনো ব্র্যান্ড বাংলাদেশের পণ্যের কাছে দাঁড়াতে পারবে না। বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের রাজধানী। আর তাতে নেতৃত্ব দেবে মার্সেল।
নতুন পরিবেশকদের মার্সেল পরিবারে স্বাগত জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির হেড অব সেলস ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, মার্সেলই বাংলাদেশের সেরা ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ বিভিন্ন হোম অ্যাপ্লায়েন্স তৈরি করছে। যার ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মার্সেল পণ্যের চাহিদা। বিশেষ করে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ সব ধরনের ক্রেতার মন জয় করেছে।
তিনি আরো বলেন, ২০১৮ সালে আমাদের লক্ষ্য ছিল বিক্রয় প্রবৃদ্ধি এবং ডিস্ট্রিবিউটর বাড়ানো। আমরা আমাদের লক্ষ্য ছাড়িয়ে যেতে পেরেছি। এ বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১৮৯ জন নতুন ডিস্ট্রিবিউটর মার্সেলের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আমাদের টার্গেট ২০১৯ সালে দেশের বাজারে ৩ লাখ ৬০ হাজার ফ্রিজ বিক্রি করা।
মার্সেলের সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রধান মো. মোজাহিদুল ইসলাম জানান, ক্রেতাদের বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদানে তারা শতভাগ আন্তরিক। দ্রুত ও সর্বোত্তম সেবা দিতে সারা দেশব্যাপী মার্সেলের রয়েছে ৭১টি সার্ভিস পয়েন্ট এবং ৫টি মিনি সার্ভিস পয়েন্ট।
সম্মেলনে মার্সেলের নতুন ডিস্ট্রিবিউটরগণ ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবসায় তাদের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। সবশেষে ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।