একটি মাঝারি মানের বাইক নিয়ে বেশ দৌড়াদৌড়ি করতে দেখেছিলাম রফিককে (ছদ্মনাম)। এ মার্চেই দেখি তার লাল রঙের ঝা চকচকে গাড়ি। কাহিনী কি? বেশ লাজুক হেসেই বললেন-কিনলাম ভাই। গত কয়েক মাস বেশ পরিশ্রম করেছি। বাইক ছেড়েে এখন পাঠাও কার রাইড দেব। বাইক চালানোর আয়ের সঙ্গে কিছু নিজস্ব টাকা যুক্ত করে পুরোপুরি পেশাদার রাইডার হয়ে গেলাম। তো কোনটাতে আয় বেশি? রফিক বললেন-ভাই বাইকে তো ভালো আয় কিন্তু ঢাকা শহরে নিজের প্রয়োজনের পাশাপাশি বাড়তি আয় হচ্ছে।
এর আগে তার পাঠাওয়ের বাইকের পেছনে চড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। দুর্দান্ত গাড়ি চালায় রফিক। ১৫৩ টাকার মতো ভাড়া এসেছিল। আমি তাকে ভাড়া দিতে গেলে লাজুক হেসে বলে-ভাই আপনার সঙ্গে ভাড়া নেব? কত মানুষকে ফ্রি সার্ভিস দেই। আপনি তো আপন মানুষ। মনে মনে ভাবি, এত ভালো চালক হয় নাকি? অবশ্য পরে তাকে ভাড়ার টাকা পুশিয়ে দিয়েছিলাম। গত ছয় মাসে তার আয় ভালো হচ্ছিল বলে গল্পে গল্পে বলেছিল। এবার তার গাড়ি দেখে মনে হল-সত্যিই পরিশ্রম করলে সফলতা আসেই।
previous post
২ comments
[…] জন্য ছিলো বুথ, যেখান থেকে পাঠাও এর নতুন রাইডার হিসেবে যুক্ত হওয়ায় তারা এক হাজার টাকা […]
[…] ফুটফুটে কন্যা সন্তানও আছে। বাইক ছিল, গাড়ি ছিল আর ছিল সুখের সংসার। কিন্তু এক সময় […]