প্রযুক্তিপণ্যের বাংলাদেশি মাল্টিন্যাশনাল ব্র্যান্ড ওয়ালটন। সাশ্রয়ী দামে অত্যাধুনিক ফিচার সম্বলিত উচ্চমানের স্মার্টফোন দিয়ে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে দেশীয় এই প্রতিষ্ঠান। দেশেই নিজস্ব কারখানায় দারুণ সব স্মার্টফোন তৈরি করছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন বাজারে ছেড়েছে প্রিমো এইচএইট প্রো। প্রিমিয়াম মানের এই ফোনে ওয়ালটন দিয়েছে বড় পর্দার নচ ডিসপ্লে, ৩জিবি র্যাম, ৩২ জিবি রম, অক্টাকোর প্রসেসর, শক্তিশালী ব্যাটারি, দুর্দান্ত ক্যামেরাসহ আকর্ষণীয় সব ফিচার। ফলে প্রি-অর্ডারে ‘প্রিমো এইচএইট প্রো’ এন্টি লেভেলের ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
ওয়ালটন সেল্যুলার ফোন বিক্রয় বিভাগের প্রধান আসিফুর রহমান খান জানান, ‘সবার জন্য নচ ডিসপ্লে’ দেয়ার লক্ষ্যে অবমুক্ত করা হয় ‘প্রিমো এইচএইট প্রো’। প্রি-অর্ডার দেয়া ক্রেতাদের জন্য দাম ধরা হয় মাত্র ৭,৪৯৯ টাকা। অনলাইনের ই-প্লাজায় ফোনটি প্রি-অর্ডারের জন্য উন্মুক্ত করার সাথে সাথে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ক্রেতারা। একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ ক্রেতা ওয়ালটনের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করায় তাদের সামাল দিতে সার্ভার এবং আইটি কর্মীদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রিমো এইচএইট প্রো স্মার্টফোনে ক্রেতাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়ায় আমরা অভিভূত। যারা প্রি-অর্ডার দিয়েছেন, তাদের কাছে ডিভাইসটি হস্তান্তর করা হচ্ছে। ব্যবহারকারীরা এই ফোনটিকে দেশের সেরা বাজেট ফোন বলছেন। খুব শিগগিরই দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, ওয়ালটন মোবাইল ব্র্যান্ড এবং রিটেইল আউটলেটে সব ক্রেতার জন্য ফোনটি উন্মুক্ত করা হবে।
ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, ক্যামেলিয়ন ব্ল্যাক, সাইয়ান ব্লু এবং রেড Ñ এই তিনটি আকর্ষণীয় রঙের প্রিমো এইচএইট প্রো স্মার্টফোনে ব্যবহৃত হয়েছে ৫.৭১ ইঞ্চির ১৯:৯ রেশিওর ইউ-নচ ডিসপ্লে। এইচডি প্লাস পর্দার রেজ্যুলেশন ১৫২০ বাই ৭২০ পিক্সেল। আইপিএস প্রযুক্তির স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ধূলা ও আঁচররোধী ২.৫ডি কার্ভড গ্লাস। নচ ডিসপ্লের মাধ্যমে ফোনের আকৃতি না বাড়িয়ে বড় স্ক্রিনের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হলেও ডিভাইসটি যথেষ্ট স্লিম। ফলে এটি দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ে দেয় অনন্য অভিজ্ঞতা।
ফোনটি অ্যান্ড্রয়েড ৯.০ পাই অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত। এতে ব্যবহৃত হয়েছে ১.৬ গিগাহার্জ গতির এআরএম কর্টেক্স-এ৫৫ অক্টাকোর প্রসেসর। সঙ্গে রয়েছে ৩ জিবি ডিডিআর৪ র্যাম এবং পাওয়ার ভিআর জিই৮৩২২ গ্রাফিক্স। যাতে ফোনের কার্যক্ষমতা ও গতি হয়েছে অনেক বেশি। ফলে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, থ্রিডি গেমিং এবং দ্রুত ভিডিও লোড ও ল্যাগ-ফ্রি ভিডিও স্ট্রিমিং সুবিধা মিলছে। বেশি পরিমাণ ছবি, মিউজিক, ভিডিও, ফাইলসহ প্রয়োজনীয় কনটেন্ট সংরক্ষণে ফোনটিতে ৩২ গিগাবাইটের অভ্যন্তরীণ মেমোরি (ইন্টারন্যাল স্টোরেজ) দেয়া হয়েছে।
এর পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত পিডিএএফ প্রযুক্তির এফ ২.০ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ বিএসআই ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। যাতে রয়েছে ৫পি লেন্স। ফলে ছবি হবে দুর্দান্ত। আকর্ষণীয় সেলফির জন্য সামনে রয়েছে পিডিএএফ প্রযুক্তির বিএসআই ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। ক্যামেরায় নরমাল এবং প্রো মোড ছাড়াও অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে নাইট মোড, ফিল্টার মোড, ফেস কিউট, এইচডিআর, প্যানোরমা, টাইম ল্যাপস, ফেস ডিকেটশন, ডিজিটাল জুম, সেলফ টাইমার, অটো ফোকাস, টাচ ফোকাস, টাচ শট, ডিসপ্লে ফেসিয়াল ইনর্ফমেশন ইত্যাদি।
দুর্দান্ত পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৩৫২০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। কানেক্টিভিটি হিসেবে আছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ভার্সন ৪.২, মাইক্রো ইউএসবি ভার্সন ২, ওয়ারলেস ডিসপ্লে, ল্যান হটস্পট, ওটিএ এবং ওটিজি। হ্যান্ডসেটটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ডুয়াল সিমে ফোরজি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট, রেকর্ডিং সুবিধাসহ এফএম রেডিও, ফুল এইচডি ভিডিও প্লে-ব্যাক, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস আনলক ইত্যাদি।
দেশে তৈরি এই স্মার্টফোনে রয়েছে বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। স্মার্টফোন কেনার ৩০ দিনের মধ্যে ত্রুটি ধরা পড়লে ফোনটি পাল্টে ক্রেতাকে নতুন আরেকটি ফোন দেয়া হবে। এছাড়াও, ১০১ দিনের মধ্যে প্রায়োরিটি বেসিসে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্রেতা বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। তাছাড়া, স্মার্টফোনে এক বছরের এবং ব্যাটারি ও চার্জারে ছয় মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা থাকছে।