তাঁর অর্জনগুলো নিয়ে অনেকেই লেখে, আলোচনা করে। এত বড় বড় অর্জন কোম্পানি বানানো নিয়ে, ইনভেস্টর হিসেবে, সর্বোপরি একজন ভালো মানুষ হিসেবে। আমি অর্জন নিয়ে না কথা বলে বলতে চাই তাঁর সাথে অর্ধ-দশক ধরে ঘনিষ্টভাবে কাজ করবার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আসিফ রহমানের বেসিস কে, বেসিস মেম্বার দেরকে দেবার মত যে কতকিছু আছে সেটা নিয়ে। ফান্ডিং রেইজ করা, কিংবা প্রডাক্ট মার্কেটে সুসংহত অবস্থান তৈরি করা, বা একটা কোম্পানিকে বা অর্গানাইজেশানকে প্রয়োজনীয় লিডারশিপ দিয়ে একটা শক্ত ভিতে উপরে দাঁড় করানো – সবদিক দিয়েই আসিফ রহমানের রয়েছে ঈর্ষনীয় ট্র্যাক রেকর্ড। কেনো আমাদের প্রাণের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির আসিফ রহমানকে প্রয়োজন তা এই চার পয়েন্টে কথা বললেই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আসিফ রহমানের রয়েছে ঈর্ষনীয় ট্র্যাক রেকর্ড
১. ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টরদের সাথে আসিফ রহমানের শুধু যে যোগাযোগ শুধু ভালো তা-ই না বরং তাঁদের কাছে উনি অনেক সমাদৃতও। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের আইটি কোম্পানিগুলোকে আসলেই যদি কেউ বিশ্বের দরবারে নিয়ে যেতে চায়, তুলে ধরতে চায়, তাহলে আসিফ রহমান সেই লিস্টের প্রথমদিকেই থাকবেন।
২.ফান্ড রাইজিং এর খুঁটিনাটি বিষয়ে উনার অভিজ্ঞতা আর দেখার চোখ অসাধারণ। অনেক বছরের অভিজ্ঞতার কারণেই খুব সম্ভবত উনি ইনভেস্টর সাইকোলজি খুব ভালো বোঝেন আর সেই অনুযায়ী প্ল্যানিং এও সাহায্য করতে পারেন।
৩. ফান্ড রাইজিং নিয়ে আমি উনার সাথে কাজ করেছি মোটামুটি ৩ টা যায়গায়। সবগুলোতেই বিগ পিকচার ধরে আগানো বিষয়ে আসিফ ভাই ছিলেন অনবদ্য। উনি কখনোই কোনো অসম্ভব প্রমিস করেন নি। কিন্তু কোম্পানির তৈরি থাকার স্টেজের উপরে ভিত্তি করে গাইড করে গেছেন একের পর এক বিষয়ে। টেকনিক্যালি সাউন্ড মানুষ হলে যা হয় আর কি!
৪. আসিফ ভাইয়ের একটা বিষয় না বললেই না সেটা হলো উনার নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা। ফান্ড রেইজিং হয়তো অনেকেই করতে পারে কিন্তু আসিফ ভাইয়ের যে থিকিং এবিলিটি, সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবার দক্ষতা, আর এমপাওয়ার করার স্টাইল – সবগুলোই আমাদের আইসিটি ইন্ডাস্ট্রির লিডার হতে গেলে প্রয়োজন। অসম্ভব প্রসেস ওরিয়েন্টেড এ ধরণের লোকজন আমাদের দেশীয় কোম্পানিগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে প্রয়োজন।
লেখক: সাইমুম হোসাইন,প্রতিষ্ঠাতা, গিকি সোশাল লিমিটেড