স্পর্শকাতর কনটেন্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নতুন বোর্ড প্যানেল গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেইসবুক।ফেইবুকের হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন ও নীতিমালা তৈরি করবে এই বোর্ড প্যানেল।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে ফেসবুকের বিশেষ এ প্যানেল প্রথম শুনানি করবে। বিতর্কিত উপাদান ও নতুন নীতিতে প্রভাব–সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে এ প্যানেলের কাছে। এ ধারণাটিকে ‘ফেসবুকের সুপ্রিম কোর্ট’ বা ফেসবুকে সর্বোচ্চ আদালত বলা হচ্ছে। বিশ্বের ৪০ জন সদস্যকে নিয়ে এ প্যানেল তৈরি হবে। তবে প্রাথমিকভাবে এর সদস্যসংখ্যা কম থাকবে।
সোশ্যাল নেটওয়ার্কটির সুপ্রিম কোর্ট হিসেবে কাজ করবে এই প্যানেল। প্রথমদিকে, এই প্যানেলের সদস্য সংখ্যা হবে ১১। তবে পরবর্তীতে সারা বিশ্ব থেকে ৪০ জন সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। ফেইসবুক গঠিত তহবিলের মাধ্যমে এই সদস্যদের বেতন দেওয়া হবে। বোর্ড সদস্যদেরকে ছাঁটাই করার ক্ষমতা ফেইসবুকের থাকবে না।
শীঘ্রই এই বোর্ড সদস্যদের নাম প্রকাশ করা হবে। বোর্ড প্যানেলে কোনো বিষয় নিয়ে মিটিং হলে সেটাও গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। এই বোর্ডের প্রথম শুনানির আয়োজন করা হবে ২০২০ সালে।এ বিষয়ে ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, কেউ যদি ফেইসবুকের নেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তাহলে আপিল করার সুযোগ আছে। এখন থেকে বোর্ডের কাছেও তারা আপিল করতে পারবে। সেক্ষেত্রে বোর্ডের নেওয়া সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মেনে নেওয়া হবে। সিদ্ধান্তটি ফেইসবুকের মতের বিপরীতে গেলেও তা পরিবর্তন করা হবে না।
বর্তমানে ফেইসবুকের পরিধি বিশাল আকার ধারণ করেছে। এতে ফেইসবুকের লাভ হলেও হ্যাপা কম নয়।বিতর্কিত কনটেন্টের কারণে নিজ দেশেই ফেইসবুককে তীক্ষ্ণ নজরদারির মধ্যেও থাকতে হচ্ছে। স্বাধীন একটি বোর্ড প্যানেল গঠন করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া ভার এড়াতে চাচ্ছে ফেইসবুক।
ফেইসবুকের ‘সুপ্রিম কোর্ট’
previous post