সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ভিডিও আদান-প্রদানের ওয়েবসাইট ইউটিউব এবং সর্ববৃহৎ অনুসন্ধান ইঞ্জিন গুগল করের আওতায় আসছে। দেশে ফেইসবুক গুগল ইউটিউবের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আয়ের ৩৫ শতাংশ উৎসে কর দিতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেট অধিবেশনে বলা হয় ‘ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল খাত যেমন- ফেইসবুক, গুগল, ইউটিউব ইত্যাদির বাংলাদেশে অর্জিত আয়ের উপর করারোপণের জন্য আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার আলোকে প্রয়োজনীয় আইনী বিধান সংযোজনের প্রস্তাব করা হলো।’
বাজেট বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক বিশ্বায়ন এবং ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশের কারণে আন্তঃসীমান্ত লেনদেনের ধরন ও আকারে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের অর্থনীতি এখন অনেক বেশি উন্মুক্ত। ফলে কর পরিহারের ঝুঁকিও বেশ বেড়েছে। ‘ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রচুর আয় করছে, কিন্তু তাদের কাছ থেকে আমরা তেমন একটা কর পাচ্ছিনা। ভার্চুয়াল ও ডিজিটাল লেনদেনের বিষয়টি তুলনামূলক নতুন বিধায় এসব লেনদেনকে করের আওতায় আনার মতো পর্যাপ্ত বিধান এতদিন আমাদের কর আইনে ছিল না।’দেশে অনলাইনে এসব মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচুর অর্থ আয় করা হচ্ছে। কিন্তু সরকার এ থেকে কোনো রাজস্ব পাচ্ছে না। অথচ দেশীয় গণমাধ্যম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থায় ফেসবুক, ইউটিউব, গুগলকে করের আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এছাড়া কর ব্যবস্থাকে আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক করার অনেক উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে এই অর্থবছর হতে করদাতাকে ই-মেইলে নোটিশ প্রেরণের বিধান কর আইনে সংযোজন করার প্রস্তাব করা হয়।