চীনা শর্ট ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা জোরালো করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ফেসবুক। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের কৌশল কী হবে অভ্যন্তরীণ এক সভায় তার বিস্তারিত আলোচনা করেছেন প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। ওই সভারই তথ্য ফাঁস হয়েছে কোনো এক সূত্রের মাধ্যমে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে টিকটক। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে ফেসবুকও নিজেদের প্ল্যাটফর্ম নিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন জাকারবার্গ।
যুক্তি সাইট ভার্জের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাকারবার্গ বলেছেন “টিকটকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য আমরা অনেকগুলো কৌশল বেছে নিয়েছি। প্রথমে আমরা বাজারে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করবো।”
আগের বছর নভেম্বরেই ফেসবুক নিজস্ব অ্যাপ “ল্যাসো” উন্মুক্ত করেছে যা টিকটকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে সক্ষম।
সভায় জাকারবার্গ বলেন, “এ ধরনের প্ল্যাটফর্মকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের হাতে অনেক রকমেরই কৌশল রয়েছে। আবার ‘ল্যাসো’ নামে একটি স্বতন্ত্র অ্যাপ নিয়েও আমরা কাজ করছি। আশা করছি এটি মেক্সিকোসহ অন্যান্য দেশে জনপ্রিয়তা পাবে।”
বর্তমানে টিনএজার এবং জেনারেশন জেড এর ওপর টিকটক সংস্কৃতির যে প্রভাব পড়েছে তার বিপরীতে ফেসবুকের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে জাকারবার্গ বলেন, “আমরা প্রথমে সেই সব দেশে বাজার ধরার চেষ্টা করবো যেসব দেশে টিকটক এখনও অতটা জনপ্রিয় হয়নি। টিকটক অনেক বেশি জনপ্রিয় এমন দেশগুলোতে আমরা পরে যাবো।”
বর্তমানে ভারতে টিকটক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ২০ কোটি। টিকটকের মূল মালিক চীনের বেইজিংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স।
ফেসবুক প্রধান টিকটক সম্পর্কে বলেন, “এটি অনেকটাই ইনস্টাগ্রামের এক্সপ্লোর ট্যাবের মতো। আমি মনে করি এটি স্টোরিজ দেখার জন্য একটি পুরো অ্যাপও হতে পারতো।”
“আমরা ইনস্টাগ্রামের সঙ্গেও বিভিন্ন রকমের কৌশল নিয়ে এগোচ্ছি। এক্সপ্লোর যাতে আরও বেশি স্টোরিজ নির্ভর হয় সে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে, ক্রমেই গ্রাহকের কাছে এই ব্যবস্থায় ইনস্টাগ্রাম কনটেন্ট গ্রহণ করার বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে, পাশাপাশি অন্যান্য কিছু বিষয়ও রয়েছে,” যোগ করেন ফেসবুক প্রধান।