শেষ হলো জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর কমিউনিটি সেফটি অ্যাওয়ার্নেস শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী কর্মশালা। গতকাল সোমবার ডিএমপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এবং নিয়ন্ত্রণ ভবনে অবস্থিত ৯৯৯’র কনফারেন্স রুমে ক্রাইম রিসার্চ এন্ড অ্যানালাইসিস ফাউন্ডেশনের (ক্রাফ) এর সার্বিক সহযোগিতায় এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
৯৯৯ এর দায়িত্বরত এসপি তবারক উল্লাহর সভাপতিত্বে দুই দিন ব্যপী এই কর্মশালায় ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেইজের এডমিন, অনলাইন এক্টিভিস্ট এবং বিভিন্ন ধরনের সাইবার ক্রাইমের শিকার ভুক্তভোগী এমন ৭০ জন নারী এবং পুরুষ নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেইজের সাথে জড়িত মানুষদের মাঝে কিছু সতর্ক বার্তা পৌছে দেওয়া এবং প্রান্তিক পর্যায়ে জনগোষ্ঠীর কাছে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯’র সেবা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলা। এতে করে সাধারন মানুষ যেন জরুরী সেবা ৯৯৯ ‘র ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানতে পারে।
কর্মশালায় তবারক উল্লাহ বলেন, ফেসবুক তথা সাইবার জগতের মাধ্যমে সৃষ্ট অপপ্রচার এবং গুজব যেন মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করে তাই ৯৯৯’র এ উদ্যোগ। যেখানে ক্রাফ আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করছে।
ক্রাফের সভাপতি জেনিফার আলম বলেন, বর্তমান সময়ে ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেজ থেকে মানুষ প্রতারণাসহ নানাভাবে হ্যারাজমেন্টের শিকার হচ্ছে। যার থেকে প্রতিকার পেতে আপনারা ৯৯৯’র সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
কর্মশালায় সাইবার আইন বিষয় নিয়ে কথা বলেন, ক্রাফের লিগ্যাল এডভাইজার সাইয়েদা ফেরদৌস আহমেদ, টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন ক্রাফের এক্সিকিউটিভ আইটি অ্যানালিস্ট সিয়াম বিন শওকত এবং ৯৯৯‘র সেবা ও বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন এখানকার প্রশিক্ষক এনএম অনিক খান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ৯৯৯’র আইটি বিষয়ক প্রশিক্ষক ইশরাক হাসান নাবিল, ক্রাফের এক্সিকিউটিভ আ্যডমিন আয়েশা সিদ্দিকাসহ ক্রাফ এবং ৯৯৯’র অন্যান্য কর্মকর্তারা যাদের সার্বিক সহয়তায় আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।