তীব্র সমালোচনার মুখে অবশেষে ভুয়া খবর ঠেকানোর বিষয়ে আরও কঠোর হচ্ছে ফেসবুক। যেসব পেজ ও গ্রুপ থেকে ভুয়া খবর ছড়ানো হবে তা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত ১১ ডিসেম্বর এ বিষয়ে সতর্ক করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, কোনও পেজ বা গ্রুপের ক্ষেত্রে যদি কমিউনিটি গাইডলাইন ভাঙার প্রমাণ না পাওয়া যায় এবং ভুয়া খবর ছড়ালে সক্রিয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফরচুন অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ফেসবুকের পক্ষ থেকে পেজের ব্যবস্থাপকদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, ফেসবুক যদি কোনও কনটেন্ট মুছে ফেলে বা সরিয়ে দেয় বা যে পোস্টের কারণে কোনও পেজ বন্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তা আবার নতুন পেজে পোস্ট করা হয়, তবে সে পেজও বন্ধ করে দেয়া হবে।
সম্প্রতি ফ্যাক্ট চেকিং কর্মসূচির মাধ্যমে প্ল্যাটফরমে কোনও খবর ভুয়া বলে শনাক্ত হলে সে পোস্টের বিষয়ে সতর্ক করা হবে বলে জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ভারতে এএফপি ইন্ডিয়া, ফ্যাক্ট ক্রেসেন্ডো, ফ্যাক্টলি, নিউজমোবাইল, ইন্ডিয়া টুডের মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে কাজ শুরু করেছে ফেসবুক।
ফেসবুক তাদের এক ব্লগ পোস্টে বলেছে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট সরানোর পাশাপাশি ভুয়া খবর ছড়ানোর বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভুয়া পোস্টগুলোকে সরাসরি ‘ভুয়া’, ‘মিশ্র’, ‘ভুয়া শিরোনাম’, ‘মতামত’, ‘বিদ্রুপের’ মতো নানা সংজ্ঞা দেয়া হবে। ১২ ভাষায় পোস্টগুলোকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হবে।
ভারতের আগে সিঙ্গাপুর ও নেদারল্যান্ডসে ভুয়া খবর বিষয়ে সতর্ক করার বিষয়গুলো পরীক্ষা করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তারা বলছে, কোনও ভুয়া খবর শনাক্ত করার পর কর্তৃপক্ষ সেই খবর পর্যালোচনা করবে। পোস্টটি ভুয়া বলে প্রমাণিত হলে তা কারও কাছে পৌঁছাবে না।
এমনকি, যেসব পেজ থেকে বারবার ভুয়া খবর ছড়ানো হবে, সে পেজের বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয়ের সুযোগ কমিয়ে দেবে।
ভুয়া খবরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও রাজনৈতিক নেতাদের পেজ থেকে সরাসরি পোস্ট করা কোনও বক্তব্য, বিজ্ঞাপনের মতো বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না বলেই জানিয়েছে ফেসবুক।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ফেসবুকের এ উদ্যোগ ভুয়া খবর ঠেকাতে সহায়ক হবে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীর মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করবে