দিন কয়েক আগেই তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে ফেসবুক। ব্যবহারকারীদের তথ্য কেলেঙ্কারির সে ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই আবারও ৩০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির বিরুদ্ধে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর সাময়িকী নিউ সায়েন্টিস্টের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির এক গবেষণার কাজে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ৩০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি নিজস্ব ওয়েব পোর্টালে গবেষকদের জন্য রাখা হয়। সেই পোর্টালে প্রবেশের জন্য ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ডের ব্যবস্থা ছিল। তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অজ্ঞাত কেউ সে পাসওয়ার্ড ও ইউজারনেম অনলাইনে ছড়িয়ে দেন। এখন প্রায় সব সার্চ ইঞ্জিন দিয়ে ওয়েবে সে তথ্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। গত সোমবার তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
এবারও কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার মতো থার্ড পার্টি অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রায় চার বছর আগে ‘মাইপার্সোনালিটি’ নামের একটি ব্যক্তিত্ব পরীক্ষার অ্যাপের মাধ্যমে ফেসবুক থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেই গবেষক দল। সংগৃহীত তথ্য গবেষকদের নিজস্ব ওয়েব পোর্টালে রাখা হয়। আর সে সময়েই গবেষণায় যুক্ত শিক্ষার্থীদের কেউ গিটহাবে ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড আপলোড করে দেন।
মাইপার্সোনালিটি নামের সেই অ্যাপ এ বছরের ৭ এপ্রিল বাতিল করেছে ফেসবুক। তবে এত দিন এই ফাঁস হওয়া তথ্যের খবর সামনে আসেনি।
ফেসবুকের পণ্য অংশীদারত্বের প্রধান আইম আর্চিবং এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা প্রায় এক মাস আগ থেকেই অ্যাপটির কার্যকারিতা বন্ধ রেখেছি। আমরা বিশ্বাস করি, অ্যাপটি হয়তো ফেসবুকের নীতিমালা ভঙ্গ করেছিল।’ তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি ফেসবুক তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি। সন্দেহের ভিত্তিতে ফেসবুক ইতিমধ্যে এমন আরও ২০০টি অ্যাপ বাতিল করেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বা গবেষক দলটির কেউই এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। সূত্র: সিনেট
ফেসবুক থেকে ৩০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস
previous post