সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে “নতুন সিগারেট” বলে সমালোচনা করেছেন ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান সেলসফোর্সের প্রধান নির্বাহী মার্ক বেনিওফ।
ফেসবুক বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বেনিওফ বলেন, ফেসবুক সিগারেটের মতোই শিশুদের আসক্ত করে তুলছে।
বুধবার টুইটে বেনিওফ লিখেন, “ফেসবুক এক ধরনের প্রকাশক হিসেবে কাজ করে। তাই ফেসবুক প্লাটফর্মে ছড়ানো প্রোপাগান্ডার জন্য প্রতিষ্ঠানটিকেই দায়ী করতে হবে। ফেসবুক সিগারেটের মতো- যা আসক্তি সৃষ্টিকারী, আমাদের জন্য ক্ষতিকর এবং শিশুরা এটার প্রতি ঝুকে পড়ছে”।
ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ “মত প্রকাশের স্বাধীনতা” বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে একটি বক্তব্য রাখার ঘোষণা দেন। বেনিওফ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, প্রতিষ্ঠানটিকে এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করা উচিত।
জুকারবার্গ এক পোস্টে লিখেন, আমি বিশ্বাস করি কণ্ঠস্বর গুরুত্বপূর্ন, কেননা মানুষ মত প্রকাশ করছে এবং পরস্পর কাছাকাছি আসছে, ইন্টরনেট দ্বারা সৃষ্ট প্রতিকূলতাগুলো এবং স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে বৃহৎ হুমকি গুলো মোকাবেলা করতে পারছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর কামালা হ্যারসি এবং এলিজাবথে ওয়ারেন সহ একাধিক আইনপ্র্রণেতা ফেসবুক বন্ধ করে দেয়ার পক্ষপাতী।
ওয়ারেন ফেসবুকে সফলভাবে একটি ভুয়া বিজ্ঞাপন ও প্রচার করেছলি যেখানে দাবি করা হয়, “মার্ক জুকারবার্গ এবং ফেসবুক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুননির্বাচনের জন্য সমর্থন জানিয়েছে”।
যদি ২০২০ সালের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডেমোক্র্যটিক দলের ওয়ারেন জিতে যায় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ টেক ফার্মগুলো ভাঙ্গার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ ও নেয়, তবুও জুকারবার্গ তার কর্মচারীদের “লড়াই করে জেতা” র প্র্রতিশ্রুতি দিয়েছে।