ফোনে মেয়ে গলা পেলেই অনেকে আজে বাজে কথা বলেন। প্রেম নিবেদন করেন। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে নারী পুলিশ সদস্যদের প্রেম-বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। আর যে পরিমাণ ফোন আসছে তার ৫০ শতাংশই ভুয়া। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। তাই এখন থেকে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে কোন নারী পুলিশ সদস্যকে প্রেম-বিয়ের প্রস্তাব দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ সেপ্টেম্বর, সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) এক সম্মেলন কক্ষে ‘কমিউনিটি সেফটি অ্যাওয়ার্নেস’ শীর্ষক সেমিনারে এ আহ্বান জানান সেবাটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ সুপার (এসপি) তবারক উল্লাহ্।
সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে ভুয়া ফোন কল এবং পুলিশের নারী সদস্যদের প্রেম-বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে তবারক উল্লাহ্ বলেন, ‘৯৯৯ সেবাটি দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস আর অ্যাম্বুলেন্সের জন্য অনেকেই প্রতিনিয়ত ফোন করছেন এই নম্বরে। গত ১০ মাসে মোট ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮১১টি ফোন এসেছে এই সার্ভিসে। তবে এর ৫০ শতাংশই ভুয়া।’
‘কেউ কেউ কল সেন্টারের নারী পুলিশদের বিয়ে বা প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করছেন। এইসব বিরক্তিকর ফোনের কারণে প্রকৃত সেবা প্রার্থীরা সেবা পেতে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছেন।’
এসপি তবারক উল্লাহ্ বলেন, ‘যারা এ সেবায় ফোন করে নারী পুলিশ সদস্যদের প্রেমের প্রস্তাব দেবে বা বিরক্ত করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
‘৯৯৯ সেবাটি সম্পর্কে অনেক মানুষই জানেন না। সেখানে ফোন করে কী কী সেবা পাওয়া যায় সেটাও অনেকে জানেন না। প্রান্তিক পর্যায়ের সকল মানুষের কাছে এই সেবা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে হবে।’
সেমিনারে দেশের কয়েকটি জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ ও গ্রুপের অ্যাডমিন, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এবং সাইবার ক্রাইমের ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। তথ্যসূত্র: প্রিয় ডটকম।