২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে দুই কোটি ৫৯ লাখ ৩৫ হাজার ৭৩২ টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল)। আর এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয় প্রায় ১৮ কোটি টাকা। সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চলতি বছরের মে হতে পরীক্ষামূলকভাবে ছয়টি টেলিভিশন চ্যানেল, একটি মোবাইল ফোন অপারেটরসহ আরও দুটি প্রতিষ্ঠানকে সেবা দেয়া শুরু করে বিসিএসসিএল। আর বর্তমানে এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের সব টেলিভিশন চ্যানেল সেবা নেয়া শুরু করেছে। এ সব থেকেই প্রতিষ্ঠানটির এই আয় হয়।
ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই সময়ে মধ্যে স্যাটেলাইট ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন খাতে বিসিএসসিএলকে খরচ করতে হয়েছে ১৭ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অবশ্য এই টাকা তারা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে পেয়েছে।
প্রতিবেদনে বিসিএসসিএল জানায়, আগের অর্থবছরে সব মিলে তারা মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংকসহ দুই ডিটিএইচ কোম্পানি আকাশ ও বায়ারের কাছে স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথ এবং ট্রান্সপন্ডার ভাড়া দিয়ে আয় করেছেন। তাছাড়া এডিএন ও স্কয়ারসহ আরো দুটি কোম্পানিও বিসিএসসিএল’র কাছ থেকে সেবা নিয়েছে।
গত মে মাসে ছয়টি টেলিভিশন কোম্পানি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা নেয়া শুরু করে। অক্টোবরে এসে সব টেলিভিশন একবারে বাণিজ্যিকভাবে সেবা গ্রহণ করতে শুরু করেছে। আপাতত এগুলোর বাইরে স্যাটেলাইটের আয়ের আর কোনো বন্দোবস্ত হয়নি।
তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আগামী বছর থেকে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি লাভজনক একটি প্রতিষ্ঠানকে পরিণিত হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই মন্ত্রিসভার অনুমোদনক্রমে কোম্পানি হিসেবে বিসিএসসিএল গঠিত হয় এবং পরের মাসে সেটি জয়েন্ট স্টকে নিবন্ধিত হয়। এরপর ২০১৮ সালের মে মাসে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে যাত্রা শুরু করে। আর এ বছরের শুরুর দিক হতে বাণিজ্যিক সেবা দেয়া শুরু করে বিসিএসসিএল।