উৎক্ষেপণের এক বছর পর বাণিজ্যিক সম্প্রচারে যাচ্ছে দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। স্যাটেলাইটটির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ৩১টি টেলিভিশন।
রোববার (১৯ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর বর্ষপূর্তি ও বিপণন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ২০২১ সালের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে পৌঁছে যাবে ইন্টারনেট।কর্তৃপক্ষের আশাবাদ, এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শিগগিরই লাভজনক অবস্থানে পৌঁছাতে পারবে বাংলাদেশ।
উৎক্ষেপণের এক বছর পূর্ণ করলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো এ সাফল্য অর্জন করে।
রোববার এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কর্তৃপক্ষ জানায়, সাশ্রয়ী মূল্য, নিরবচ্ছিন্ন সেবাসহ আরও অনেক সুবিধা পাবেন গ্রাহকরা।
বিসিএসসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমরা টেলিমেডিসিন, টেলিএডুকেশন ইত্যাদি সেবা দিবো। সবচেয়ে বড় মার্কেট যেটা হবে বলে আমি মনে করি, সেটা হল এখানকার ব্যাংকিং সেক্টর।
এ সময় জানানো হয়, প্রথমবারের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণেরও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। দুর্গম অঞ্চলে ইন্টারনেট পৌঁছাতে অবকাঠামোগত বাধা এড়ানো সম্ভব হয়েছে ১ম স্যাটেলাইটের কারণে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসতে পারবো।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, আমরা খসড়া তৈরি করছি, প্রস্তাবনাগুলো তৈরি করছি। কী ধরনের স্যাটেলাইট হবে, কী ব্যান্ডউইথ হবে অথবা কীভাবে আমরা করবো সেগুলো পর্যালোচনা হচ্ছে।
শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও গ্রাহক সেবার চেষ্টা চলছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদে মন্তব্য, বাণিজ্যিক দিকের তুলনায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতেও ভূমিকা রেখেছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১।
এ সময় আনুষ্ঠানিক বিপণনের অংশ হিসেবে সময় মিডিয়া লিমিটেডসহ কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও ব্যাংক গ্রাহক হওয়ার আবেদন করে।