অনেকের মনে যে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক সেটা হল, স্যাটেলাইট কি? আর এটা দিয়ে কি হয়? এটা সাধারণ মানুষের কতটুকু কাজে লাগবে?খুব সহজ ভাবে বললে, মানুষের তৈরি উপগ্রহকে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট বলে। বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট শিগগিরই উৎক্ষেপণ হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরি করেছে ফ্রান্সের কোম্পানি। এরপর পাঠানো হয়েছে ইউএস এর ফ্লোরিডাতে। যুক্তরাষ্ট্রের রকেট নির্মাতা সংস্থা স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানো হবে। এটির গ্রাউন্ড স্টেশন গাজীপুর। সব কাজ শেষ। এখন কেবল উৎক্ষেপণের অপেক্ষা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে:
* নিজস্ব স্যাটেলাইট তাই মহাকাশ সম্পর্কে বেশি জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হবে। মহাকাশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
* বাণিজ্যিক ভাবে বেশি লাভ হবে। এই স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। যার মধ্যে ২০টি দেশের কাজে ব্যবহৃত হবে আর ২০টি ভাড়া দেওয়া হবে। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে প্রচুর পরিমান টাকা বাইরের দেশে চলে যায়, যার পরিমান ২ লাখ ডলার। আমরা বর্তমানে সিঙ্গাপুরের স্যাটেলাইট ব্যবহার করি। আমরা এই স্যাটেলাইট ভাড়া দি্লে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। এতে করে দেশের টাকা দেশে থাকবে আবার বাইরের দেশ থেকেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
* আবহাওয়া সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানা যাবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা যাবে।
* মিলিটারিদের জন্য খুব সুবিধা হবে। কারণ তারা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করে। স্যাটেলাইট ফোন হল যে ফোনো ট্রেস করা যায় না। এটি কোনো তারের মাধ্যমে চলে না।
* সমুদ্র, বন নিয়ে রিসার্চ করা যাবে অনায়াসে।
* ইন্টারনেট সহজলভ্য হবে। এটি আরো অনেক স্মুথ হয়ে আসবে। কমিউনিকেশন ডেভেলপ না করতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হবে না।
১ comment
[…] এইচএসবিসি। দেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১-এর রকেটের প্রাক্–উৎক্ষেপণ পরীক্ষা […]