রাশিয়া বাংলাদেশের বন্ধু। তাদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজের আগ্রহ দেখান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এখন সাইবার নিরাপত্তায় বাংলাদেশ-রাশিয়া জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ হবে। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাশিয়া সফররত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ রাশিয়ার মস্কোয় রুশ ফেডারেশনের যোগাযোগ ও গণমাধ্যম মন্ত্রী নিকোলাই নিকিফরেভের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাশিয়ার সহায়তা চান প্রতিমন্ত্রী। জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১০০ গুণের বেশি বেড়েছে। বেড়েছে সরকারি সেবা প্রদানের হার, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আর্থিক লেনদেনসহ ডিজিটাল কার্যক্রম বেড়েছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সাইবার ঝুঁকি। এ ঝুঁকি মোকাবিলায় রাশিয়ার মতো বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রয়োজন। পারস্পরিক ভিত্তিতে সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা বিশ্বমানের সক্ষমতা অর্জন করতে চাই।’ প্রতিমন্ত্রীর এ প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন রুশ ফেডারেশনের যোগাযোগ ও গণমাধ্যম মন্ত্রী নিকোলাই নিকিফরেভ। সাইবার ঝুঁকি মোকাবিলায় ‘সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণের আন্তঃরাষ্ট্রীয় আগাম তথ্য বিনিময়ে’ একমত পোষণ করেন তিনি। এ ছাড়া সাইবার নিরাপত্তায় পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেন তিনি। বাংলাদেশে রাশিয়ার সহযোগিতায় ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন সাইবার সিকিউরিটি’ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী। এতে সম্মতি দিয়েছেন রাশিয়ান মন্ত্রী নিকিফরভ। এ ছাড়া একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে রাজি হয়েছেন। রাশিয়াকে বাংলাদেশের হাইটেক পার্কগুলোতে রাশিয়ান বিনিয়োগ বৃদ্ধি, তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক উদ্ভাবন ও স্টার্ট-আপ ইকো-সিস্টেম প্রতিষ্ঠা, ই-গভর্নেন্স ও ই-সার্ভিস প্রদান আর কার্যকর করতে সহযোগিতা চান মন্ত্রী। গত ৪ ডিসেম্বর স্কোলকোভো ফাউন্ডেশনের হেড অব ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলারেশন প্রোগ্রাম দারিয়া লিপাতোভার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কালিয়াকৈরের বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি পরিদর্শন করেন। তাঁরা প্রতিমন্ত্রীকে রাশিয়া সফরের আহ্বান জানান।
বন্ধুরাষ্ট্র রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে সাইবার নিরাপত্তায় কাজ হবে: পলক
previous post