“হাই টেক পার্ক টু মেক বাংলাদেশ আই টি হাব” শীর্ষক অনলাইন সেমিনার আয়োজন করেছে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ। সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি জনাব তপন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এর মাননীয় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুরুতে যখন ডিজিটাল বিনির্মানের বাংলাদেশ ঘোষনা দেয়া হলো তখন সেটানিয়ে অনেকে কৌতুক করলেও বর্তমানে তা বাস্তব। দেশের শহরের মানুষজন থেকে শুরু করে একেবারে প্রান্তিক মানুষ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ এর সুফল ভোগ করছে। বিভাগীয় শহরে হাইটেক পার্ক করার ফলে জনগন এখন ঢাকা মুখি না হয়ে নিজ নিজ বিভাগেই কর্মসংস্থান করতে পারছে, সেই সাথে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হচ্ছে।
আয়োজনের স্বাগত বক্তব্যে সভাপতি জনাব তপন কান্তি সরকার সিলিকন ভ্যালি সহ প্রথম সাড়ির আইটি হাব গুলোর কথা তুলে ধরেন, এবং আশা প্রকাশ করেন নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক ও সেই প্রথম সাড়ির আইটি হাবে যোগ দিবে এবং সেই লক্ষ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রেও সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এক সাথে কাজ করবে। তিনি সিটিও ফোরামের জুলাইতে অনুষ্ঠিতব্য ইনোভেশন হ্যাকাথন সম্পর্কে সকল কে অবহিত করেন। এবং এই আয়োজনে পার্টনার হিসেবে যোগ দেয়ায় সরকারের এটুআই প্রকল্প এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
ওয়েবিনারে মূল বক্তব্য প্রদান করেন হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এবং আই সি টি ডিভিশনের সম্মানিত অতিরিক্ত সচিব জনাব বিকর্ণ কুমার ঘোষ। তিনি স্লাইড শো প্রেজেন্টেশানের মাধ্যমে হাইটেক পার্কের বিভিন্ন প্রকল্প সমূহ বিদেশি বিনিয়োগ, সরকার ও প্রাইভেট পার্টনার্শিপ প্রকল্প গুলো তুলে ধরেন। হাইটেক পার্কে প্রদান করা সকল সুযোগ সুবিধা এবং কোম্পানি গুলোকে দেয়া স্পেস ও আইটি স্টার্টআপ গুলোকে হাইটেক পার্ক কীভাবে সহযোগিতা করছে তাঁর বিস্তারিত বর্ণনা প্রদান করেন। তিনি বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের অধিনে ৪১টি হাইটেক পার্ক ও ৬৮টি ইনকিউবেশন সেন্টার এর বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং দেশের ও বিদেশের আইটি কোম্পানি গুলোকে এই সকল হাইটেক পার্কে আসার জন্য আহ্বান করেন। তিনিও সিটিও ফোরামের সাথে একত্রে কাজ করার ঘোষনা দেন।
আয়োজনটি সঞ্চালনা করেন আইসিটি ডিভিশনের এস্প্যায়ার টু ইনভেশান এর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা এবং সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এর সাধারন সম্পাদক জনাব আরফে এলাহী মানিক। তিনি সঞ্চালনার পাশাপাশি এটুআই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার এর আইসিটি বিভিন্ন প্রকল্পকে তুলে ধরে বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গুলো ডিজিটাল ভাবে নথি পত্র ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে সেবা গুলো চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের কর্মকর্তাগন অফিসে ফিজিক্যালি উপস্থিত না হয়েও গুরুত্বপূর্ণ কাজ, মিটিং ও গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষর করে যাচ্ছেন নিরন্তর তাঁর উপরও আলকপাত করেন।
আয়োজনে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহন করেন হাইটেক পার্কে সবথেকে বড় স্পেস নেয়া ফেয়ার গ্রুপের এর চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব, তিনি হাইটেক পার্কে বাংলাদেশে হুন্দাই এর ইলেক্ট্রিক্যাল কার তৈরির ঘোষনা দেন।
অংশগ্রহন ডাটাসফট এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সাবেক বেসিস প্রেসিডেন্ট মাহবুব জামান, তিনি হাইটেক পার্কে কেবল বিদেশি বিনিয়োগ নয় দেশের কোম্পানি গুলো কীভাবে হাইটেক পার্কের সহোযোগিতায় বিদেশে তাদের সলুশন রপ্তানি করতে পারে সে ব্যাপারে জোর দেয়ার প্রস্তাব করেন।
আরো ছিলেন ই-জেনারেশন এর চেয়ারম্যান এবং সাবেক বেসিস সভাপতি শামিম আহসান। তিনি বিদেশি স্টার্টাপ গুলোর কিছু সাক্সেস স্টোরি শেয়ার করেন এবং হাইটেক পার্কে আরো কি কি পদক্ষেপ নিলে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে তা উল্ল্যেখ করেন।
ওয়েবিনারটিতে জুমের মাধ্যমে সিটিও ফোরামের কার্যনীর্বাহি ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ সহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগন অংশগ্রহন করেন। সিটিও ফোরামের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে ওয়েবিনারটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।