কিডনি রোগে আক্রান্তদের জন্য সুখবর নিয়ে আসছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান চিকিৎসা বিজ্ঞানী শুভ রায়। তিনি প্রতিস্থাপনযোগ্য কৃত্রিম কিডনি আবিষ্কার করেছেন।খুব শিগগিরই বাজারে আসছে এ কিডনি।আকারে হাতের মুঠোর সমান।খরচ তুলনায় অনেকটাই কম। ২০১৯-এর মধ্যেই বাজারে আসার সম্ভাবনা এই কৃত্রিম কিডনির। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং এই যন্ত্রের সহ-আবিষ্কারক শুভ রায় জানান, চলতি দশকের শেষ অথবা নতুন দশকের গোড়ায় বাজারে পাওয়া যাবে এটি।
আমেরিকায় তৈরি এই যন্ত্র আপাতত সে দেশের কয়েক হাজার রোগীর দেহে পরীক্ষামূলকভাবে বসানো হয়েছে। শারীরিক সুরক্ষা ও সর্বাঙ্গীণ সাফল্যের পরীক্ষায় উতরোলে তা বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেবে মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা—এফডিএ। কীভাবে কাজ করে এটি— এর উত্তরে শুভ রায় বলেন, যন্ত্রটি সহজেই পেটের ভিতরে স্থাপন করা যায়। স্বাভাবিক কিডনির মতো রক্ত শোধন ছাড়াও হরমোন উৎপাদন ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। সাধারণ হিমোডায়ালিসিস প্রক্রিয়ার মতো রক্ত থেকে বিষাক্ত বর্জ্য বাদ দেওয়া ছাড়াও জীবন্ত কিডনি কোষ দিয়ে তৈরি বায়ো রিঅ্যাক্টর এবং সূক্ষ পর্দার মাধ্যমে রক্ত শোধনের কাজ নিখুঁতভাবে করতে পারে কৃত্রিম কিডনি।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় দুই লাখ মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয় এবং তাদের মধ্যে প্রায় দেড় লাখই মারা যান।কিডনির চিকিৎসাও অত্যন্ত ব্যয়বহুল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস ও হাই ব্লাড প্রেসারই এই রোগর অন্যতম কারণ।
কিডনির ক্রনিক সমস্যা সমাধানে ডায়ালিসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচও অত্যাধিক। কৃত্রিম কিডনির সঠিক খরচের হিসাব এখনই না বললেও শুভ রায়ের দাবি, তার আবিষ্কৃত প্রতিস্থাপনযোগ্য কৃত্রিম কিডনি ব্যবহার করে রোগী সুস্থ থাকতে পারেন বছরের পর বছর। খরচও কম। ডায়ালাইসিস বা কিডনি প্রতিস্থাপনের তুলনায়, তার তৈরি কৃত্রিম কিডনির খরচ অনেকটাই কম। ফলে, সাধারণ মানুষের চিকিৎসা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তা লাঘব হবে।