বাংলাদেশের হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগ করতে চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে স্যানডং প্রদেশের দিঝউ সিটির ২০টি কোম্পানির প্রায় ৩৫ জন প্রতিনিধি এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম এর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগের ক্ষেত্রসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় বাংলাদেশের হাই-টেক ইন্ডাস্টিতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ যে ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলেছে তার পরিসংখ্যানভিত্তিক উপস্থাপনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ (এফডিআই) ক্রমবর্ধমানভাবে বেড়ে চলেছে। চীনের কোম্পানিগুলো এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম আরো জানান, ইতোমধ্যে কালিয়াকৈরে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি শুরু হয়েছে। শিগগির সেখানে ল্যাপটপ এসেম্বলিং শুরু করবে। এখানে নামে মাত্র মূল্যে জমি লিজ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম প্রণোদনা সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
অলোচনা সভায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়িতব্য সিলেট ইলেক্ট্রনিক সিটি প্রকল্পের পরিচালক ব্যরিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, সিলেটে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পেও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো এখানে বিনিয়োগ করলে সব ধরনের সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত। এছাড়া অন্যান্য প্রকল্পের পরিচালকগণ তাদের প্রকল্প এলাকায় বিনিয়োগের পরিবেশ এবং সুবিধার বিষয়গুলো চীনা প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরেন।
চীনা কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির অংশীদার হতে আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, চীন এখন বিশ্বের বড় অর্থনৈতিক শক্তি। বাংলাদেশের উন্নয়নের সহযাত্রী হতে তারা আন্তরিকভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এখন অনলাইন ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করেছে। কাজেই চীনা কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করতে চাইলে খুব সহজে এবং দ্রুত সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সব ধরনের সহযোগিতা করতে সদা প্রস্তুত। সভায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।