বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ১৫,৫০০ টাওয়ার শতভাগ ফোরজি সক্ষম করে তোলার মাধ্যমে দেশের সকল প্রান্তে সম্ভাবনা উন্মোচনে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলো গ্রামীণফোন।
রাজধানীতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয় গ্রামীণফোন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মিত্র। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান, সিএফও ইয়েন্স বেকার এবং সিএমও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব।
২৪ বছর আগে দেশের সকল মানুষকে মোবাইল কানেক্টিভিটি প্রদানের যাত্রা শুরু করে গ্রামীণফোন। এ ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটালাইজেশনের যাত্রার পার্টনার হিসেবে অঙ্গীকারের ব্যাপারে নিজেদের অবস্থান পুনরায় নিশ্চিত করলো গ্রামীণফোন।
অনুষ্ঠানে মাননীয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমি বরাবরই দেশব্যাপী ফোরজি কভারেজের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছি, যাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একজন সাধারণ মানুষও ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের অংশ হতে পারে। সরকারের এই রূপকল্প বাস্তবায়নে অবিরাম প্রচেষ্টার মাধ্যমে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য আমি গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানাই।’
গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, ‘আমাদের ওপর আস্থা রাখার জন্য আমি গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। ধারাবাহিক দিকনির্দেশনার জন্য আমি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং বিটিআরসি’কেও ধন্যবাদ জানাই। আমাদের গ্রাহকদের জন্য উচ্চমানের সেবা নিশ্চিত করতে এবং বাংলাদেশের জাতীয় ডিজিটালাইজেশন এবং উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতায় আমরা ভবিষ্যতে একসাথে কাজ করার এবং অংশীদারিত্ব করার ব্যাপারে প্রত্যাশী।’
বিটিআরসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মিত্র বলেন, ‘সারাদেশে উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতিকে আমরা সাধুবাদ জানাই। সকল মোবাইল ফোন গ্রাহকদের জন্য গুণগত সেবা নিশ্চিত করতে এবং তাদের ডিজিটালাইজেশন এবং যোগাযোগের চাহিদা পূরণে আমরা এখন আরও বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষমতায়নে নিরলস প্রচেষ্টার যাত্রায় আজকের দিনটি আমাদের জন্য বিশেষ একটি দিন। বাংলাদেশের সকল প্রান্তে ফোরজি কাভারেজ বিস্তৃত করে সব জায়গায় ডিজিটাল সেবার সুবিধা, এসএমই ভিত্তিক স্যলুশন ও এডুকেশন প্ল্যাটফর্মের সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশজুড়ে কোটি মানুষের সম্ভাবনা উন্মোচনে আমরা এগিয়ে এসেছি। শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সব জায়গায় গ্রাহক অভিজ্ঞতার উন্নয়নে আমরা দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
অনুষ্ঠান চলাকালীন গ্রামীণফোনের সিএমও মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিব প্রত্যন্ত অঞ্চলের একাধিক প্রতিনিধির কাছে সরাসরি কল করেন এবং তাদের সাথে ফোরজি কানেক্টিভিটির আনন্দ উদযাপন করেন।
গত ২৪ বছর ধরে গ্রামীণফোন প্রযুক্তি সুবিধা সকলের কাছে সমানভাবে পৌঁছে দিতে এবং সবার জন্য কানেক্টিভিটি সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। দেশব্যাপী ফোরজি কভারেজ, নতুন টাওয়ার স্থাপন এবং অতিরিক্ত ১০.৪ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম প্রতিস্থাপনের প্রস্তুতির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি মানুষের সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেটের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং শহর এবং গ্রামাঞ্চলের ৮ কোটি গ্রাহকের জন্য ডিজিটাল সেবা প্রদানে তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেছে।