কোরিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান কনা আই-এর প্রধান নির্বাহী ও বাংলাদেশের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কনা সফটওয়্যার ল্যাব লিমিটেডের চেয়ারম্যান চুং ইল চো সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেন। বাংলাদেশের ডিজিটাল পেমেন্ট খাত নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
বাংলােদেশে কেমন সম্ভাবনা দেখছেন?
বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়েই ডিজিটাল পেমেন্ট ও নিরাপত্তা খাতের সফটওয়্যারের চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে ডিজিটাল পেমেন্ট ও সফটওয়্যার খাতে অনেক এগিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সামনে আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে।
কনার উদ্যোগ সম্পর্কে বলুন
১৯৯৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার পেমেন্ট সফটওয়্যার খাতের উদ্যোগ হিসেবে কনার যাত্রা শুরু। এখন বিশ্বের ৯০টি দেশে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১২ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয় কনার। বর্তমানে পেমেন্ট ও পেমেন্ট সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সফটওয়্যার তৈরিতে দেশ ও বিদেশে নানা প্রকল্পে কাজ চলছে কনার।
ভবিষ্যতে কোন পথে হাঁটবে কনা?
বাংলাদেশকে সম্ভাবনাময় দেশ উল্লেখ করে সফটওয়্যার খাতের এ বিশেষজ্ঞ বলেন, দেশ ও বিদেশে নানা চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ব্লকচেইনের মতো নানা প্রযুক্তি নিয়ে কাজ হচ্ছে। ভবিষ্যতে ইন্টিগ্রেটেড সার্ভিস সলিউশন নিয়ে হাজির হবে কনা।
বাংলাদেশে কাজের ক্ষেত্র কেমন দেখছেন?
বাংলাদেশের ৩০টির বেশি ব্যাংকে চিপ কার্ড সরবরাহ করছে কনা। এর বাইরে ইএমভি, এইচসিই, এনএফসি ও কিউআর কোড প্রযুক্তির ডিজিটাল পেমেন্ট এবং ওয়ালেট সেবা নিয়ে কাজ করছে। বর্তমানে একটি ইন্টিগ্রেটেড সেবা নিয়ে কাজ চলছে। যেখানে একটি অ্যাপের মধ্যেই পেমেন্ট, লাইফস্টাইলসহ নানা সেবা পাওয়া যাবে।
কোন খাতে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে?
বাংলাদেশের সফটওয়্যার বাজারকে গুরুত্ব দিয়ে আরও গবেষণা ও মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে। দেশের স্টার্টআপগুলোকে তুলে আনতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্পে সহযোগিতার করবে কনা।এ ছাড়া ব্যবহারকারীর দৈনন্দিন জীবনকে আরও নিরাপদ ও সুরক্ষিত করতে অত্যাধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সমন্বয়ে নতুন পণ্য ও সেবা তৈরি করবে কনা। এজন্য অবশ্য তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা প্রসার করতে হবে।