বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অফিস ফার্নিচার নির্মাণকারী এবং অভিনব ওয়ার্কপ্লেস সল্যুশনস্ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টিলকেস আজ থেকে (১৪ই মার্চ) বাংলাদেশে তাদের যাত্রা শুরু করল। রাজধানী ঢাকায় স্টিলকেস-এর শোরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শোরুমটির উদ্বোধন ঘোষণা এবং স্টিলকেসের তৈরি বিভিন্ন ধরনের পণ্যের প্রদর্শন করা হয়।
বাংলাদেশে স্টিলকেসের প্রথম শোরুমটি স্থাপনা করা হয়েছে রাজধানীর বনানী এলাকার ভেঞ্চুরা ত্রিভেনিতে (লেভেল-৮)। ওয়ার্ক স্পেস টেকনোলোজির সাথে সম্মিলিতভাবে শোরুমটি পরিচালনা করা হবে। এর মাধ্যমে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্টিলকেসের উপস্থিতি আরও জোরদার হলো। এবছরের শুরুতে শ্রীলংকায় উদ্বোধনের পরে দক্ষিণ এশিয়ার ২য় কোনো দেশে স্টিলকেস তাদের উপস্থিতি জোরদার করলো।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল বাজারগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। স্টিলকেস বিশ্বাস করে তাদের অভিনব ওয়ার্কপ্লেস সল্যুশনস্, গ্রাহক ভিত্তিক আর্কিটেকচার, ফার্নিচার এবং টেকনোলোজি সল্যুশনস্ সেবার মাধ্যমে একটি সুন্দর কর্মক্ষেত্র গড়ে তুলতে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা প্রদান করতে পারবে। যদিও দেশীয় ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রি ক্রমশই এগিয়ে যাচ্ছে কিন্তু গবেষণা ও জ্ঞানের দিক থেকে বিশেষত ওয়ার্কপ্লেস ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও কিছুটা পিছিয়ে। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রির সাথে কাজ শুরু করবে স্টিলকেস।
স্থানীয় ও বিদেশী উভয় ধরনের ব্যবসায়ীদের জন্য স্টিলকেসের শোরুমটি একটি তথ্যভান্ডার হিসেবে কাজ করবে। এখান থেকে ব্যবসায়ীরা সারা বিশ্বে স্টিলকেসের কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত সর্বশেষ গবেষণা ও বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান সম্পর্কে জানতে পারবেন, যা তাদের ক্রমবর্ধমান ব্যবসার প্রসারে সহায়ক হবে। শুধুমাত্র কর্মীদের কাজ করা নিয়ে নয়, ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্র কেমন হবে এ সংক্রান্ত গবেষণায় সবার চেয়ে এগিয়ে রয়েছে কোম্পানিটি।
সম্প্রতি গ্লোবাল মার্কেটিং রিসার্চ ফার্ম আইপিএসওএস-র সহযোগিতায় পরিচালিত ১৪টি-দেশের গ্যালাপ গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বে পূর্ন সময় ধরে কর্মরত ১৩০ কোটি কর্মীর প্রায় এক-চতুর্থাংশ কর্মী কাজে মনোযোগী নয়। যা মনযোগ দিয়ে কাজ করা কর্মীর সংখ্যার দ্বিগুণ। গবেষণায় আরও দেখা গেছে কর্মীদের সাথে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশের একটি সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। একজন কর্মী যত বেশি সন্তুষ্ট, তিনি ততো বেশি মনোযোগী।
স্টিলকেসের ইন্ডিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রভীন রাওয়াল এ বিষয়ে ব্যখ্যা প্রদান করেন। তিনি বলেন, “বর্তমানে প্রত্যেকটি ব্যবসা একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত, যা ক্রমাগতভাবে পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই কর্মীদের জন্য এমন একটি কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজন, যা তাদেরকে যেকোন স্থানে এবং যেকোন সময় কাজ করার প্রেরণা দিবে। আমরা ডব্লিওএসটি’র সাথে কাজ করতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রের ডিজাইন করা বিষয়ে তাদের প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে, যা আমাদের গ্রাহকদের সর্বোত্তম ওয়ার্কপ্লেস সল্যুশনস এবং ফার্নিচার সরবরাহ করতে সাহায্য করবে।”
স্টিলকেসের সাথে অংশীদারিত্বকে স্বাগত জানিয়ে ওয়ার্ক স্পেস টেকনোলজির ম্যানেজিং পার্টনার মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, “বিশ্ববিখ্যাত বাণিজ্যিক কর্মক্ষেত্রের ডিজাইন ও ফার্নিচার উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্টিলকেসের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের যৌথ উদ্যোগ নতুন ডিজাইনে অবদান রাখবে এবং বাংলাদেশী কর্মক্ষেত্রের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবে। ওয়ার্ক স্পেস টেকনোলজি ইতোমধ্যে বাণিজ্যিক ইন্টেরিয়র ডিজাইনের সাথে গভীরভাবে জড়িত। আমি বিশ্বাস করি এই অংশীদারিত্ব দেশের কর্মক্ষেত্রের উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখবে। একটি কোম্পানির উন্নয়নে কর্মীদের কাজে নিয়োজিত থাকা এবং তাদের সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা তাদের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য আমাদের বিশেষায়িত সমাধান প্রদানের জন্য প্রস্তুত।”
স্টিলকেস সম্পর্কে:
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলির কাজ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যগত অভিজ্ঞতা উন্নয়নে ১০৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্টিলকেস ইনকর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। স্টিলকেসের অন্তর্ভুক্ত ব্র্যান্ডের তালিকায় রয়েছে স্টিলকেস, কোয়ালেস, ডিজাইনটেক্স, পলিভিশন, টার্নস্টোন এবং এএমকিউ যারা ফার্নিচার, প্রযুক্তিগত পণ্য ও সেবা প্রদান করে। সারাবিশ্বে স্টিলকেসের ৮০০ এর বেশি ডিলার লোকেশন আছে যার মাধ্যমে স্টিলকেসের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব। ২০১৮ অর্থবছরে স্টিলকেসের আয় ৩.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। www.steelcase.com