বর্তমানে ১০টি কোম্পানি দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উত্পাদন করছে। এর ফলে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে আমদানিকে ছাড়িয়েছে দেশে তৈরি মোবাইল হ্যান্ডসেট। আমদানি ও সংযোজন মিলিয়ে হ্যান্ডসেট বাজাজারত হয়েছে দুই কোটি ৯০ লাখ ২৫ হাজার ৩৮ ইউনিট। এর মধ্যে ৪৯ শতাংশ ফোন আমদানী হয়েছে। বাকি ৫১ শতাংশ উত্পাদিত হয়েছে দেশেই ।
বিটিআরসি’র হিসাব বলেছে, গত অর্থবছরে মোবাইল ফোন উত্পাদন হয়েছে এক কোটি ৪৫ লাখ ২২ হাজার ৪৬৪ ইউনিট। বিপরীতে আমদানী হয়েছে এক কোটি ৪৫ লাখ ২ হাজার ৫৭৪ ইউনিট।
অপরদিকে দেশে উত্পাদিত হ্যান্ডসেটের মধ্যে ৭৭ শতাংশ ছিলো ২জিফোন। মাত্র ৫ শতাংশ ফোন থ্রিজি হলেও; উত্পাদিত ৪জি ফোনের হার ছিলো ১৮ শতাংশ।
এই সময়ে উত্পাদনে শীর্ষে ছিলো ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ। তারা এক বছরে উত্পাদন করেছে ৪৯ লাখ ৫৩ হাজার ৯১০ ইউনিট ফোন। সিম্ফোনি ব্র্যান্ডের ফোন তৈরি হয়েছে ১৪ লাখ ২০ হাজার ৭০৭ ইউনিট। নরসিংদীর কারখানায় ৯ লাখ ৭ ৩হাজার ইউনিট স্যামসাং ফোন তৈরি করেছে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিঃ।
ফাইভস্টার, এজটেল, ভেগা, সানি, ডুগি, ভিতু ও ইনভেন্স ব্রান্ডের মোট ৫ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ ইউনিট ফোন উত্পাদন এবং ১ কোটি ৪৫ লাখ ২ হাজার ৫৭৪ ইউনিট ফোন আমদানি করেছে আলামিন এন্ড ব্রাদার্স।
এছাড়াও আনিরা ইন্টারন্যাশনাল ১০ লাখ ৭৪ হাজার ৮২৪ ইউনিট এবং ৯ লাখ ৭২ হাজার ৩৮১টি ভিভো ফোন সংযোজন করেছে বেস্ট টাইকুন (বিডি) এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড। ২,২৫,০০০ পিস লাভা ও ম্যাক্সিমাস ও ১,৮০০ পিস ডিটিসি ফোন তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে।
অপরদিকে বাংলাদেশের কারখানায় অপো ও রিয়েলমি ফোন তৈরি হয়েছে ৫ লাখ ১১ হাজার ১২৩টি।