প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনার প্রতিযোগিতা বাংলালিংক ইনোভেটর্স-এর দ্বিতীয় আসরের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে আয়োজিত এই গ্রান্ড ফিনালেতে এবারের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। বিশেষ এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস, বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ ও প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
প্রতিযোগিতাটির প্রথম আসরের সাফল্যের পর দেশের সৃষ্টিশীল তরুণদের উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে আবারও উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে দ্বিতীয় আসরের আয়োজন করা হয়। এবারের সেরা প্রতিযোগীরা বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যার ডিজিটাল সমাধান প্রদানের মাধ্যমে ফাইনালে স্থান করে নেয়। প্রতিযোগীরা গ্রুমিং, বুট ক্যাম্প সেশন, ওয়ার্কশপ ও অন্যান্য আরও কার্যক্রমে বিশেষজ্ঞ ও বাংলালিংক-এর কর্মকর্তাদের দ্বারা প্রশিক্ষণের সুযোগ পায়।
প্রায় ৯০০০ প্রতিযোগী ইনোভেটর্স মাইক্রোসাইট থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ট্রেইট-ডিটারমাইনিং ন্যাক গেমসের ভিত্তিতে তাদের মধ্যে থেকে সেরা ১০০ প্রতিযোগী বাছাই করা হয়। পরবর্তীতে একদিন ব্যাপী আইডিয়েশন এ্যান্ড প্রেজেন্টেশন সেশনের মাধ্যমে বাছাই করা হয় সেরা ৪০ জনকে। এই প্রতিযোগীরা বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের পরিকল্পনা প্রদর্শন করে। পরিকল্পনাগুলির উদ্ভাবনী বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নির্বাচন করা হয় সেরা ৫ জনকে, যারা আজ অনুষ্ঠিত ফাইনালে তাদের ডিজিটাল পরিকল্পনা উপস্থাপনের সুযোগ পায়। প্রতিটি পর্যায়ে অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করে টিম গ্রিনোভেশন, টিম লোকোমোটিভস্ ও টিম ডাইভার্সিটি যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে। সেরা তিনটি টিম রিসাইকেলার্ন, আস্থা ফিল্টার ও প্রোজেক্ট ইয়েলো নামক তিনটি প্রোজেক্ট উপস্থাপন করে। প্রোজেক্ট তিনটির বিষয়বস্তু হলো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বর্জ্য নিষ্কাশনে উৎসাহ প্রদান, আইওটি ম্যাট্রিক্সের সাহায্যে নিরাপদ পানীয় জল নিশ্চিতকরণ ও বর্জ্য পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন।
বিজয়ী দল অ্যামেস্টারডমে অবস্থিত বাংলালিংক-এর স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনসহ পাবে বাংলালিংক-এর “স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম”-এর অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারে যোগদানের সুযোগ। সেরা ৩টি দল পাবে বাংলালিংক-এর “স্ট্র্যাটেজিক অ্যাসিস্টেন্ট প্রোগ্রাম”-এর অ্যাসেসমেন্ট সেন্টারে যোগদানের সুযোগসহ আকর্ষণীয় পুরস্কার। এছাড়া সেরা ৫ দলের প্রত্যেক সদস্য বাংলালিংক-এর অ্যাডভান্সড ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম(এআইপি)-এ সরাসরি যোগদান করতে পারবে।
বাংলালিংক-এর সিইও এরিক অস বলেন, “প্রতিভাবান এই তরুণদের আগ্রহ ও উদ্যম দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমি বিশ্বাস করি, আগামী দিনের ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে তাদের। দেশের অন্যতম প্রধান ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংক কিছু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে যেগুলি তরুণদেরকে তাদের স্বপ্নপূরণে সাহায্য করবে। আমি আশা করছি, আমাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সুযোগগুলি উপযুক্তভাবে কাজে লাগিয়ে বিজয়ীরা নিজেদেরকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সফল পেশাজীবী হিসেবেও প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হবে।”
প্রযুক্তির মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়ন ও তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে বিকশিত করার লক্ষ্যে বাংলালিংক বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে। দেশের অন্যতম এই ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ অব্যাহত রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।