উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ এবং সুইডিশ দূতাবাস বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে বাংলা উইকিপিডিয়ায় শুরু হচ্ছে ‘উইকিগ্যাপ’ শীর্ষক সম্পাদনা বিষয়ক এডিট-আ-থন। বাংলা উইকিপিডিয়ার বিষয়বস্তুর জেন্ডার ভিত্তিক অসমতা দূরীকরণের লক্ষ্যে নারী বিষয়ক নিবন্ধ তৈরী এবং মানোন্নায়ন এ এডিট-আ-থনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। বাংলা উইকিপিডিয়ায় অনলাইন এডিট-আ-থনটি ৩ মে থেকে শুরু হয়ে ১৭ মে ২০১৯ পর্যন্ত ১৫ দিনব্যাপী চলবে।
অনলাইন এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে উইকিমিডিয়া বাংলাদেশের সভাপতি শাবাব মুস্তাফা বলেন, ‘ইংরেজি উইকিপিডিয়ার তুলনায় বাংলা উইকিপিডিয়ার বিষয়বস্তুতে লিঙ্গ বৈষম্য আরও বেশি পরিমানে বিদ্যমান। উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ, উইকিপিডিয়াতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও একইসাথে বাংলা ভাষার মুক্ত জ্ঞানভান্ডারে বিষয়বস্তুর সমতা আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং এর অংশ হিসেবে সুইডিশ দূতাবাসের সাথে ‘উইকিগ্যাপ’ এডিট-আ-থনটি আয়োজন করা হচ্ছে।’
বিশ্বব্যাপী সুইডিশ দূতাবাস গত বছর থেকে উইকিপিডিয়ার বিষয়বস্তুর বৈষম্য লাঘবে স্থানীয় উইকিমিডিয়া চ্যাপ্টারসমূহের সাথে #উইকিগ্যাপ ক্যাম্পেইন আয়োজন করে আসছে। এ বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত সার্লোট্টা স্লাইটার বলেন, ‘সুইডেন বিশ্বের প্রথম দেশ যারা নারীবান্ধব পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছে এবং সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে মানবাধিকার ও ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে আমরা কাজ করছি কারণ, লিঙ্গ সমতা, শান্তি ও নিরাপত্তা টেকসই উন্নয়নের একটি মৌলিক শর্ত।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারী সফল হচ্ছে, ভার্চুয়াল জগতেও নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তথাপি বিশ্বের বৃহত্তম অনলাইন বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়াতে ৯০ ভাগ বিষয়বস্তু পুরুষ কর্তৃক লিখিত এবং নারীদের তুলনায় পুরুষ সম্পর্কিত নিবন্ধ কয়েক গুণ বেশি। উইকিপিডিয়ায় এ অসামঞ্জতা দূর করতেই সুইডিশ দূতাবাস এ আয়োজন করেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ পদক্ষেপ বাংলা উইকিপিডিয়ায় বিষয়বস্তুর জেন্ডার অসমতা দূরকরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনবে।
উল্লেখ্য, এডিট-আ-থন শেষে বিজয়ীদের উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ ও সুইডিশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। এডিট-আ-থন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://bn.wikipedia.org/s/cq7g ঠিকানায়।