সামাজিক ব্যবসার জন্য ইও গ্লোবাল-এর নিকট স্বীকৃতি লাভ করেছে বাগডুম ডট কম। বাগডুম ডট কম সামাজিক ব্যবসার অংশ হিসেবে গ্রামীণ নারী হস্তশিল্প উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ই-কমার্স ব্যানারের অধীনে নিয়ে এসেছে। ডব্লিউইইএসএমএস’র প্রকল্প আইডিই-এর সাথে যুক্ত হয়ে মাইইও এনগেজ গ্লোবাল সামিট-এ অংশগ্রহণ করে বাগডুম, যেটি সামাজিক ব্যবসা জন্য আলোচনা ও উদযাপনের যুগান্তকারী ধারণার একটি প্ল্যাটফর্ম।সামাজিক ব্যবসার জন্য ইও-এর গ্লোবাল চেয়ারম্যান ব্রায়ান ব্রল্ট-এর কাছে থেকে স্বীকৃতি গ্রহণ করেন বাগডুম-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সিইও মিরাজুল হক। এই স্বীকৃতি শতাধিক গ্রামীণ নারী ব্যবসায়ীর সাথে সম্পৃক্ত যা তাদের মার্কেটপ্লেস এবং অর্থনীতিতে আরও অবাধ করবে। বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ম্যানেজমেন্ট কনসাল্টিং, টেকনোলজি সার্ভিস এবং আউটসোর্সিং কোম্পানি ইজেনারেশন এই ইভেন্টের অন্যতম গর্বিত স্পন্সর। এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইও বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এন্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব হোসাইন খালেদ, ইও ফোরাম চেয়ার এন্ড গ্রীন ডেল্টা ইনস্যুরেন্স লি. ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফারজানা চৌধুরী, মাইইও চেয়ার এন্ড ভাইস চেয়ারম্যান তাহসিন আমান।
বাগডুম ডট কম এবং ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, “বাগডুম সবসময় কেবল একটি বাণিজ্যিক ইকমার্স সাইট হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় না বরং যাদের সামাজিক ব্যবসার জন্য নিজেদের বিকশিত করতে একটি প্ল্যাটফর্ম দরকার তাদের জন্যও কাজ করে। উদাহরণ হিসেবে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-বাগডুম মার্চেন্ট ফিন্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম: এমপাওয়ার’ যা, বাগডুমের মার্চেন্টদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়ন করতে একটি উদ্যোগ এবং তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য সহায়ক”।
বাগডুম ডট কমের সিইও মিরাজুল হক বলেন, “বাগডুম কেবল একটি ইকমার্স নয় বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নারীদের ক্ষমতায়ন করার লক্ষ্য বাগডুমের রয়েছে। সে কারণেই নারী শিল্পী ও উদ্যোক্তাদের মধ্য¯^ত্ত¡ভোগীদের কাছে থেকে বের করে নিয়ে এসে দেশব্যাপি আমাদের নেটওয়ার্কে সরাসরি সম্পৃক্ত করেছি”।
বাগডুম একটি ওয়ান-স্টপ লাইফস্টাইল প্ল্যাটফর্ম যাতে রয়েছে বিভিন্ন দেশী-বিদেশী ব্র্যান্ডের পণ্য। হোক সাদামাটা, ক্যাজুয়াল অথবা বিলাসবহুল, ট্রেন্ডি বাগডুম মানুষের প্রতিদিনের জীবন, অনুষ্ঠান, প্রয়োজনীয়তা, উদযাপন এবং প্রত্যাশার তালিকাসমূহকে গুরুত্ব দেয়।
আর অন্যদিকে, খুবই প্রতিভাবান এবং উদ্যোগী তরুণ উদ্যোক্তাদের দ্বারা ইও ২০১৫ সালে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে। বাণিজ্যের মূল স্পৃহা এবং ঝুঁকি গ্রহণ ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সহজাত বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে ইও এর চালিকা শক্তি।