বাণিজ্য মেলার শেষমুহুর্তে আকর্ষণীয় নগদ ছাড়, ক্যাশ ভাউচার, ফ্রি পণ্য ও হোম ডেলিভারির মতো বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে মার্সেল প্যাভিলিয়ন। আর তাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও বিশ্বমান সম্পন্ন ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনারসহ বিভিন্ন হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মার্সেল প্যাভিলিয়নে ক্রেতা-দর্শণার্থীর ব্যাপক ভিড়। বিক্রিও হচ্ছে বেশ ভালো। সাশ্রয়ী দামের পাশাপাশি মেলায় বাড়তি সুবিধায় পছন্দের ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য বাছাইয়ে ক্রেতারা ছিলেন ব্যস্ত। আবার ক্রেতাদের হাতে পছন্দের পণ্য বুঝিয়ে দিতে ব্যস্ত ছিলেন সেলস এক্সিকিউটিভস ও ক্যাশ কাউন্টারের কর্মকর্তারা। পিক আপ ও ভ্যান গাড়িতে বিক্রয়কৃত ফ্রিজ, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য বোঝাইয়ে প্যাভিলিয়নের বাইরেও অনেককে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে।
প্যাভিলিয়নের ইনচার্জ মো: সাইফুল ইসলাম জানান, মেলায় বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি, বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও কালারের সকল মডেলের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজে ১২ শতাংশ নগদ ছাড় দিচ্ছে মার্সেল। সব মডেলের এসিতে মিলছে ১৫ শতাংশ ছাড়। মেলায় ক্রেতারা মার্সেলের সব এলইডি টিভি ১২ শতাংশ ছাড়ে ও লেটেস্ট এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ৭ যুক্ত স্মার্ট টিভি ১৫ শতাংশ ছাড়ে কিনতে পারছেন। হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সে পাচ্ছেন ১০ থেকে ১২ শতাংশ নগদ ছাড়।
এসব সুবিধা ছাড়াও দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-৪ এর আওতায় মার্সেল ফ্রিজ, টিভি ও এসির ক্রেতারা পাচ্ছেন আকর্ষণীয় উপহার। এর মধ্যে রয়েছে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার, মোটরসাইকেল, এয়ার কন্ডিশনার, ল্যাপটপ, ফ্রিজ, এলইডি টিভিসহ অসংখ্য ফ্রি পণ্য।
মার্সেলের হেড অব সেলস ড. মো: সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, মেলার শুরু থেকেই ক্রেতা সমাগম বেশ ভালো। মার্সেল ৩০ টিরও বেশি ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের প্রায় ৩০০ মডেল এনেছে মেলায়। এসব পণ্যের প্রযুক্তি, ডিজাইন ও কালারে রয়েছে নতুনত্ব। উচ্চ গুণগতমানের এসব পণ্যের দাম বাজেটের মধ্যে থাকায় এবং নগদ ছাড় পাওয়ায় শেষমুহুর্তে মার্সেল প্যাভিলিয়নে ক্রেতাদের ভিড় ছিল বেশি।
রাজধানীর রামপুরা থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে মার্সেল প্যাভিলিয়নে এসেছিলেন একটি বেসরকারি ফার্মের কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন। তিনি ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের মার্সেল ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ও ভয়েস কমান্ডে নিয়ন্ত্রণযোগ্য ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ১.৫ টনের একটি এসি কিনেন ৫৫ হাজার ২৫২ টাকায়। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, এবছর গরমের সময় এসি কিনবো বলে আগেই ঠিক করেছিলাম। মেলায় এসে এসির দাম ও প্রযুক্তি সম্পর্কে খোঁজখবর নিচ্ছিলাম। এর মধ্যে মার্সেলের ইনভার্টার প্রযুক্তির স্মার্ট এসি পছন্দ হয়। দামও দেখলাম বাজেটের মধ্যে। তাই কিনে ফেললাম। মো: তোফাজ্জল হোসেনের মতো রাজধানী ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা মার্সেল প্যাভিলিয়ন থেকে ছাড় ও অন্যান্য বাড়তি সুবিধায় পছন্দের ফ্রিজ, এলইডি, স্মার্ট টিভি, এসিসহ অসংখ্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস কিনছিলেন।
দুইতলা বিশিষ্ট সুদৃশ্য মার্সেল প্যাভিলিয়নের দ্বিতীয় তলায় বিক্রি হচ্ছিলো মার্সেলের নিজস্ব কারখানায় বিশ্বের লেটেস্টে প্রযুক্তিতে তৈরি ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ৭২ মডেলের ফ্রিজ। এর মধ্যে ছিলো ৫৮ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ, ইনভার্টার প্রযুক্তির ২ মডেলের নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ ও ১২ মডেলের ডিপ ফ্রিজ। মেলায় ক্রেতা-দর্শণার্থীদের জন্য চোখ ধাঁধানো ডিজাইনের টেম্পারড গ্লাস ডোরের ১৪ মডেলের ফ্রস্ট ফ্রিজ এবং সাইড বাই সাইড ডোরের গ্লোবাল মডেলের নতুন ফ্রিজ এনেছেন তারা।
প্রদর্শন ও বিক্রি হচ্ছিলো ইনভার্টার, আয়োনাইজার ও স্মার্ট প্রযুক্তির এক থেকে দুই টনের ২০ মডেলের এসি। ভয়েস কমান্ডে এবং বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে মোবাইল ফোনে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে মার্সেলের স্মার্ট এসি। এছাড়া আয়োনাইজার প্রযুক্তির এসি রুমকে ঠান্ডা করার পাশাপাশি ধূলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত করবে। মার্সেল এসিতে ফোর-ডি কুলিং প্রযুক্তি সংযোজন করায় রুম ঠান্ডা হয় দ্রুত।
প্যাভিলিয়নের নিচ তলায় ছিল ৪২ মডেলের এলইডি ও স্মার্ট টিভি, ৭ মডেলের এয়ার কন্ডিশনার, ৬ মডেলের মাইক্রোওয়েব ওভেন, প্রেসার কুকার এবং আয়রন বা ইস্ত্রি মেশিন, এলপিজি ও ন্যাচারাল গ্যাসচালিত সিঙ্গেল ও ডাবল বার্নারের ২৭ মডেলের গ্যাস স্টোভ, ২৪ মডেলের এলইডি লাইট, ১৪ মডেলের ব্লেন্ডার, ৯ মডেলের রিচার্জেবল টেবিল ফ্যান, ৭ মডেলের সিলড লিড এসিড রিচার্জেবল ব্যাটারি, ৫ মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি, কিচেন কুকওয়্যার ও সিলিং ফ্যান, ৪ মডেলের রুম হিটার, ২ মডেলের ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার, অটোমেটিক ভোল্টেজ প্রোটেকটর ও রিচার্জেবল টর্চ লাইট। আরো ছিলো ওয়াশিং মেশিন, এয়ার কুলার, ইন্ডাকশন কুকার, দেয়াল ফ্যান।