মানুষের বাস্তব জীবনের চেয়ে ইন্টারনেটে আচরণের প্রভাব বেশি। কারণ মুখোমুখি পারস্পরিক আচরণ মানুষ পরে ভুলে থাকতে পারে। কিন্তু ইন্টারনেটে যোগাযোগের আচরণ স্থায়ী হয়ে থাকে এবং বার বার তা নজরে পড়ে। আর সে আচরণ যদি উগ্র হয় তাহলে তা থেকে সহিংসতা ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি থাকে। এছাড়া বিশ্বের সব ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সীমানাবিহীন একটি এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় যেকোনো একজনের কাজ অন্য সবার ওপর প্রভাব ফেলে। এজন্য সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে সচেতন হতে হবে। এই সচেতনতা তৈরিতে তরুণদের এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জের রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সাইবার অপরাধ সচেতনতা’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিসিএ ফাউন্ডেশন) এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।
সকাল ১০টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সেমিনার শুরু হয়। আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. মনিন্দ্র কুমার রয়, সাইবার নিরাপত্তা গবেষক মোহাম্মাদ মঞ্জুরুল ইসলাম ও কম্পিউটার সাইন্স অ্যান ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান এ এইচ এম শাহরিয়ার পারভেজ। আরও ছিলেন সিসিএ ফাউন্ডেশনের দপ্তর সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, অনুষ্ঠান সমন্বয়ক আবদুল্লাহ আল নাঈম প্রমুখ।
রামু ও নাসিরনগরে সাম্প্রতিককালে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনা উল্লেখ করে প্রফেসর মনিন্দ্র কুমার রয় বলেন, অতীতে দেশব্যাপী সাইবার অপরাধের মাধ্যমে সহিংস উগ্রবাদ ছড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও এর বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে তরুণ সমাজকেই ভূমিকা রাখতে হবে।