যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে দেশটির অন্তত ৪৯টি রাজ্যে। অভিযোগ রয়েছে, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও উপকরণের অভাবে সেখানে অনেকেই করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে পারছেন না। এ সমস্যা সমাধানে দেশজুড়ে টেলিহেলথ সার্ভিস আরও বিস্তৃত করার ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
মঙ্গলবার তারা জানায়, এখন থেকে মার্কিন নাগরিকরা স্কাইপে ও ফেসটাইম ব্যবহার করে কোনও বাড়তি খরচ ছাড়াই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষজনকে ভিড় পরিহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেই মোতাবেক টেলিহেলথ সার্ভিস আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
যুক্তরাষ্ট্রের ৭৬ শতাংশ হাসপাতাল টেলিহেলথ সেবা দিতে প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আমেরিকান হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন (এএইচএ)। আগে বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে সব শ্রেণি ও বয়সের মানুষ টেলিহেলথ সেবা পেতেন না। তবে করোনা সংকটে সেসব নিয়ম শিথিল করেছে কর্তৃপক্ষ। এখন থেকে যেকোনও রোগীই অতিরিক্ত খরচ ছাড়া অনলাইনেই চিকিৎসকের সেবা নিতে পারবেন।
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত অন্তত ৫ হাজার ৮৯১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন ৯৯ জন। করোনা ট্র্যাকিং প্রজেক্টের হিসাবে, দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার মানুষের করোনা টেস্ট করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাবলিক হেলথ সার্ভিস কমিশনড কর্পসের (ইউএসপিএইচএস) প্রধান ডা. ব্রেট গিরয়ের জানান, দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) ও সরকারি ল্যাবরেটরিতে এ পর্যন্ত অন্তত ৩১ হাজার ৮৭৮ জনের করোনাভাইরাস টেস্ট করা হয়েছে। সহযোগী ল্যাবগুলোতে পরীক্ষা করা হয়েছে আরও ২৭ হাজার জনের। ইউএসপিএইচএস দেশজুড়ে এ ধরনের অন্তত ৪৭টি ভ্রাম্যমাণ ল্যাব পরিচালনা করছে বলে জানা গেছে। তবে অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে কতগুলো টেস্ট করা হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত নয়।