মুদ্রাপাচারসহ আর্থিক অনিয়মের একাধিক অভিযোগে মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা বিকাশ ও রকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া তিন কুরিয়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন, এসএ পরিবহন ও কন্টিনেন্টালের নথি তলব করা হয়েছে। এই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর তাদের প্রাতিষ্ঠানিক লেনদেনসহ সার্বিক তথ্য-উপাত্ত চেয়ে বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়েছে দুদক। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে নয় ধরনের তথ্য ও নথিপত্র চেয়েছে দুদক।
পত্রপ্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে দুদককে তথ্য সরবরাহ করতে চিঠিতে বলা হয়। বেসরকারি ব্যাংকিংয়ের মতো কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের মতো কাজ করছে বিকাশ ও রকেটসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এদের আর্থিক লেনদেন নিয়ে আছে বিস্তর অভিযোগ।
দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আছে এসব প্রতিষ্ঠান মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা দরকার। তাই প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে কাজ করে, কীভাবে আর্থিক লেনদেন করে, দিনে মাসে বা বছরে কী পরিমাণ লেনদেন হয় তাদের সেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কোন নীতিমালার আলোকে এ ধরনের ব্যবসা করা হচ্ছে দুদক থেকে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. মাহমুদ হাসানের সই করা নোটিসে বিকাশ লিমিটেডের রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের মহাব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবীরকে আগামী ১২ এপ্রিল ও ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এসএভিপি অ্যান্ড হেড অব এফআইডি সাইফুল আলম কবিরকে ১৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।