২৫শে বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি (এসপিএসবি) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বাতিঘরে ‘আমারই চেতনার রঙে’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকজয়ী বিজ্ঞান লেখক সুব্রত বড়ুয়া।
সবার কাছে রবিঠাকুরের পরিচয় একজন কবি হিসেবে, একজন শিল্পী হিসেবে, একজন কথাসাহিত্যিক হিসেবে। কিন্তু এবারের আয়োজন ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিজ্ঞানভাবনা নিয়ে। ডালহৌসি পাহাড়ে বাবা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে জ্যোতির্বিজ্ঞানে হাতেখড়ি, শান্তিনিকেতনে তাঁর পাঠভবনে ছোটদের বিজ্ঞান শিক্ষা পাঠের প্রবর্তন, ১৯৩৭ সালে ‘বিশ্বপরিচয়’ প্রবন্ধ সংকলন প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে বিজ্ঞান নিয়ে কবিগুরুর চিত্তের প্রণোদনা।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহসভাপতি মুনির হাসান। সাহিত্যের পাশাপাশি কবিগুরুর জীবনযাত্রায় বিজ্ঞান ভাবনা কীভাবে প্রভাব ফেলেছে তা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। এরপর রবীন্দ্রনাথের বিজ্ঞান ভাবনা নিয়ে নিবন্ধ পাঠ করেন উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যারয়ের শিক্ষার্থী দেবাশীষ বিশ্বাস। আলোচনায় অংশ নেন একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিক ও বিজ্ঞান লেখক সুব্রত বড়ুয়া এবং বুয়েটের অধ্যাপক ফারসিশ মান্না মোহাম্মদী। বক্তব্যে তাঁরা রবীন্দ্রনাথের জন্মদিবসে এরকম একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতিকে ধন্যবাদ জানান।
আলোনার পাশাপাশি কল্পরেখা সাংস্কৃতিক সংগঠনের পরিবেশন করে নাটিকা ‘ছাত্রের পরীক্ষা’। ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে’ নামে গান-কবিতা-গল্পের একটি সমন্বিত পরিবেশনা উপস্থাপন করে তারা। ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’, ‘আমার পরাণ যাহা চায়’, ‘আকাশ ভরা সূর্য-তারা’ সহ বেশ কিছু গানও পরিবেশন করে ফাবিহা তাসনিম অরণী ও দীপান্বিতা বড়ুয়া।