বিশ্বব্যাপী ভার্চুয়াল মুদ্রা হিসেবে পরিচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ক্রিপ্টোমুদ্রাকে হালাল ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের একটি মসজিদ। রমজান মাসজুড়ে জাকাত হিসেবে বিটকয়েনের মতো ভার্চুয়াল মুদ্রা গ্রহণ করার কথা জানিয়েছে। ডালস্টনের ‘মসজিদ রামাদান’ বলেছে, ‘ভার্চুয়াল মুদ্রা আল্লাহর দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য, যতক্ষণ পর্যন্ত তা বৈধ লেনদেনের জন্য ব্যবহৃত হয়।’
মসজিদ রামাদান ‘শ্যাকেলওয়েল লেন মসজিদ’ নামেও পরিচিত। মসজিদের একজন কর্মকর্তা জায়েদ আল খায়ের বলেছেন, ‘কোনও মুদ্রা হালালও নয়, হারামও নয়। মুদ্রা ব্যবহার করে যদি বৈধভাবে লেনদেন করা হয় তাহলে তা হালাল।’ সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার ব্লসম ফাইন্যান্সের এক গবেষক বিটকয়েনকে ইসলামের আলোকে বিশ্লেষণ করে জানিয়েছেন, বিটকয়েন যেহেতু বেশিরভাগ বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা লেনদেনে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করছেন, তাই সেটি হালাল। সে অনুযায়ী কোনো মুসলিম বিটকয়েন সঞ্চয় করলে তার ওপর জাকাত দিতে বাধ্য।
ব্লকচেইন স্টার্টাপ কম্বো ইনোভেশনের প্রতিষ্ঠাতা গুরমিত সিং মসজিদের বিটকয়েন ওয়ালেট স্থাপনে সাহায্য করেছেন। তার মতে, যদি বিশ্বের এক শতাংশ বিটকয়েনও মুসলিমদের হাতে থাকে, তাহলেও তার মূল্য এক বিলিয়ন পাউন্ডের ওপর। সে অনুযায়ী অন্তত ২৬ মিলিয়ন পাউন্ডের সমমূল্যের বিটকয়েন জাকাত হিসেবে দান হওয়ার কথা।তার মতে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে জাকাত দেয়ার ব্যবস্থা আরও আগে চালু করা উচিৎ ছিল। ধীরে ধীরে আরও মসজিদে বিটকয়েন ওয়ালেট চালু হবে বলে তিনি আশা করছেন।
মসজিদ রামাদান কর্তৃপক্ষ আশা করছে, রমজান মাসে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ১০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহ করতে পারবে তাঁরা। মসজিদের বোর্ড অফ ট্রাস্টির সভাপতি এরকিন গুনেই বলেছেন, ‘নতুন মুদ্রা ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে আমরা আরো বড় জনগোষ্ঠীর কাছে আমাদের আবেদন পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।’এখনো পর্যন্ত বিটকয়েনে জাকাত এসেছে মাত্র একটি। তার মূল্যমান ১০০ পাউন্ডের কিছু বেশি। তবে ধীরে ধীরে মানুষ এ ব্যাপারে যতো জানবে, জাকাতের পরিমাণও তত বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।