বিদ্যুতের ওপর চাপ কমাতে সৌরশক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে দেশের অন্যতম প্রধান মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনাসহ প্রচার-প্রচারণা সকল ক্ষেত্রে যতোটা সম্ভব সৌরশক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসটি।
সম্প্রতি কোম্পানির প্রচারের জন্যে স্থাপিত বিলবোর্ডগুলো পর্যায়ক্রমে সৌরশক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘নগদ’। এর ফলে বিলবোর্ড পরিচালিত হবে প্রাকৃতিক উৎস থেকে পাওয়া শক্তি দিয়ে। এর মাধ্যমে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার সাথে তাল মেলানো এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার উৎসাহিত হবে এবং কিছুটা হলেও জনজীবনে স্বস্তি আসবে।
পর্যায়ক্রমে ‘নগদ’ এর সকল বিলবোর্ডে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি লক্ষ্যের একটি হলো সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি ব্যবহার। বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে এই ধরনের জ্বালানি ব্যবহার করার ব্যাপারে যথেষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সেসব পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হলো নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার। আর এই কাজে উৎসাহ দিতে ‘নগদ’ স্থাপন করেছে সৌরশক্তিচালিত বিলবোর্ড।
সৌরশক্তিচালিত এই বিলবোর্ড স্থাপনের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ‘নগদ’-এর প্রধান বিপনন কর্মকর্তা শেখ আমিনুর রহমান বলেন, “নগদ সবসময়ই পরিবেশ, মানুষ নিয়ে সচেতন থাকে। আমরা চাই, আমাদের প্রতিটি কর্মকাণ্ড যেন বিশ্বকে আরও নিরাপদ আবাসস্থল করে তুলতে সহায়তা করে। সেই চাওয়া থেকে আমরা নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে জোর দিয়েছি। তার ফলেই আমরা স্থাপন করেছি সৌরশক্তিচালিত বিলবোর্ড। এর ফলে আমরা প্রকৃতি থেকে পাওয়া শক্তিকে কাজে লাগিয়েই বিলবোর্ডকে সচল রাখতে পারব। ‘নগদ’ ধীরে ধীরে দুষণমুক্ত, সাশ্রয়ী এবং প্রকৃতিবান্ধব সৌরশক্তির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।”
নবায়নযোগ্য শক্তি বলতে এমন সব শক্তির উৎসকে বোঝানো হয়, যা বারবার ব্যবহার করা সম্ভব। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উৎস যেমন: সূর্যের আলো ও তাপ, বায়ু প্রবাহ, জলপ্রবাহ, জৈব শক্তি (জৈবভর), ভূ-তাপ, সমুদ্র তরঙ্গ, সমুদ্র-তাপ, জোয়ার-ভাটা, শহুরে আবর্জনা, হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইত্যাদি নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়। আশা করা হয় যে, ২০৫০ সাল নাগাদ মানুষের বিদ্যুতের চাহিদার ৮৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি বা রিনিউয়েবল এনার্জি থেকে পূরণ করা হবে।
নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের মতো অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপের সাথে ইতিমধ্যে যুক্ত আছে ‘নগদ’। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের এই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস মাত্র তিন বছরে সাড়ে ছয় কোটি গ্রাহকের বিশাল এক পরিবারে পরিণত হয়েছে। ‘নগদ’-এর দৈনিক লেনদেন গড়ে ৭৫০ কোটি টাকা; যা সর্বোচ্চ এক হাজার কোটি টাকাও স্পর্শ করেছে। একটি ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ‘নগদ’।
বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে সৌরশক্তির বিলবোর্ড স্থাপন করল ‘নগদ’
previous post