দেশের শিল্প-বানিজ্যকে বৈশ্বিক পরিবর্তনের সাথে এগিয়ে নিতে ব্যবসায় বিপণন পেশাজীবিদের দক্ষতা উন্নয়নে জোর দিতে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহবান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী।
শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে বিপণন পেশাজীবিদের এক সম্মিলনের উদবোধনের সময় বিপনণখাতের পেশাজীবিদের আন্ত:ব্যক্তিক সম্প্ররক উন্নয়নের উপরও জোর দেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন।
বাংলাদেশ মার্কেটার ইনিস্টিটিউটের আয়োজনে দেশের ব্যাবসায় বিপনণখাতের শিক্ষক, ছাত্র এবং পেশাজীবিদের অংশগ্রহনে দ্বিতীয় বারের মত উদযাপিত হচ্ছে বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সাথে সাথে বৈশ্বিক বিপণন কৌশলে আধুনিকায়ন হচ্ছে।প্রথাগত বানিজ্য কৌশলে নতুন গ্রাহকদের কাছে পন্য পৌছানো কঠিন হয়ে পরবে যদিনা বিপণন পেশাজীবিদের ‘সময়োপযোগী দক্ষতা’ উন্নয়ন না হয়।
দেশের ব্যবসায় শিক্ষায় উদ্ভাবনী বিপণন বিষয়কে গুরুত্ব দিতে শিক্ষার্থীদের সাথে শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংযোগ বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি অনুরোধ রাখেন নুরুল মজিদ হুমায়ুন।
আয়োজকরা জানান, বানিজ্যে বিপনণের পেশাজীবি এবং শিক্ষক,শিক্ষার্থীদের মধ্যে অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে মেলবন্ধন তৈরি করতেই দিনব্যাপী আয়োজনে দশ হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে উদযাপনে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকল স্নাতক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মার্কেটিং বিভাগের উদোগে – ভোক্তাই প্রথম – শিরোনামে দেশেজুড়ে উদযাপনের শুরু হয়েছে বলে জানানো হয় আয়োজকদের পক্ষ থেকে।
ঢাকায় দিনব্যাপী আয়োজনে পেশগত অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন বিপনণ খাতের শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবিগণ। পাশাপাশি বিষয় ভিত্তিক অধিবেশনে বিপনণখাতের বৈশ্বিক পরিবর্তন, প্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্ভাবনী বিপনণসহ গ্রাহকবান্ধব টেকসই বিপনণ নিয়ে আলোচনা হয় তথ্যবহুল উপস্থাপনায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন দেশের বিপনণখাতে সংশ্লিষ্ট সবার জন্য ‘মার্কেটিং ডে’ বড় উদযাপন হিসেবে পরিচিত পেয়েছে।
অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন,ব্যবসায় শিক্ষার অন্যতম শাখা বিপনণ। সময়ের সাথে পরিবর্তন ঘটছে বিপনণ কৌশলের।তাই সংশ্লিষ্টদের বাজারের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য প্রশিক্ষিত করে গড়ে তোলা জরুরী।আর আন্তঃব্যাক্তিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বিষয় ভিত্তিক জ্ঞান বিনিময়ের সুযোগ পেয়েছেন অংশগ্রহনকারীরা।
আয়োজক পরিষদের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম দুলু বলেন দেশের বিপনণখাতে জড়িত পয়তাল্লিশ লক্ষ মানুষের মাঝে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে পেশাগত উতকর্ষ অর্জনের জন্যই – মার্কেটিং ডে।
দেশের বিপনণখাতে অধিকাংশ নির্বাহীরা বৈশ্বিকমানের নয় দাবি করে শরিফুল ইসলাম দুলু বলেন,বিপনণের যায়গাটি অনেক বড়। সময়ের সাথে সাথে মাধ্যম এবং কৌশল পরিবর্তিত হচ্ছে।মার্কেটিং ডে উদযাপনের মাধ্যমে আমরা মার্কেটার ইনিস্টিটিউটের একটি স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছি আমরা।
ঊল্লেক্ষ্য,দেশের সকল জেলায় বিপনণ পেশাজীবি শিক্ষার্থীদেরকে দক্ষ মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য – মার্কেটার ইনিস্টিটিউট বাংলাদেশ – নামে একটি প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে দিবসটির আয়োজকদের।
বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে উদযাপনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ইগলূ এবং মেঘনা গ্রুপ।সহ-পৃষ্ঠপোষকতায় নগদ এবং পুষ্টি।অন্যান্য সহযোগীদের মধ্যে রয়েছে – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়,মার্কটেল,বাংলাদেশ ব্রান্ড ফোরাম, ব্যাকপেইজ পিআর।