বিমানে বসে এবার দেওয়া যাবে ফেসবুক আপডেট। ইমেইল আদান প্রদানসহ ইন্টারনেটে প্রয়োজনীয় কাজও সেরে নেওয়া যাবে যাত্রাপথেই। সেই সঙ্গে কথা বলা যাবে মোবাইল ফোনে। বাড়তি পাওনা হিসেবে দেখা যাবে সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার।
বিমান ভ্রমণে ইন্টারনেটের ব্যবহার আগেই শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশে অপারেশন চালানো ২৬টি এয়ারলাইন্সের কেউই এই সেবা শুরু করেনি। অবশেষে বাংলাদেশ বিমান শুরু করতে যাচ্ছে বিমানের মধ্যে দ্রুত গতির ইন্টারনেট ও মোবাইলে কথা বলার সুযোগ। আগামী পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে এই সেবা শুরু হবে। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থার কয়েকটি উড়োজাহাজে প্রথমবারের মতো সেবাগুলো পাওয়া যবে। বিমানের বহরে যোগ হওয়া বোয়িং-এর তৈরি চারটি ড্রিমলাইনারে থাকবে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ।
সেবাগুলো চালু হলে বিমান যাত্রীরা উড়োজাহাজে থ্রিজি গতিতে বিনামূল্যে ওয়াই-ফাই সুবিধা নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে নিজের মোবাইল ফোন থেকেই কথা বলা যাবে দুনিয়া যে কোনো জায়গায়। আর টেলিভিশনে থাকবে নয়টি চ্যানেল। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একজন মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ জানান, বিমানের প্রত্যেক যাত্রী বিনামূল্যে তাদের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপে ২০ মেগাবাইট ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন। দেশের প্রথম বিমান সংস্থা হিসেবে এই সেবা তারা চালু করতে চলেছেন।
বিমানে টেলিকম সেবা চালুর ব্যাপারে ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত দিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। নতুন সেবা চালু করতে প্যানাসনিক এভিয়েশন করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তিও হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানটি ২৫টি স্যাটেলাইট দিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে এই সেবা দিবে।
১ comment
[…] উড্ডয়নের ওপর ভিত্তি করে উন্নতি করছে বোয়িং, যা ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তি বাজারে আনতে […]