আগামী ২৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা। এস্পেসএক্সের ওয়েবসাইটে এখন পর্যন্ত সেটিই বলা রয়েছে। তবে এখন তা আরও একটু পেছাতে পারে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, পেছানোর এই সময় হতে পারে এক সপ্তাহ। তবে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে তা সুস্পষ্ট হবে। এ দিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর কার্যালয়েও এক সপ্তাহ সময় পেছনোর বিষয়ে আলোচনা চলছে। সে অনুসারেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন সবাই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক সময় জানানো হয়নি তাদের। তবে উৎক্ষেপণের যে তারিখ প্রচার করা হয়েছে সেটিতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা। ’অন্যদের মতো প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমিও এস্পেসএক্সের একটা ই-মেইল প্রত্যাশা করি; কিন্তু তেমন কিছুই পাচ্ছি না। দেখা যাক কি হয়- উল্লেখ করেন শাহজাহান মাহমুদ। এর আগে অনেকবার তারিখ দিয়েও শেষ পর্যন্ত তা পিছিয়ে দেওয়ার কারণে এবার কোনো প্রাথমিক তারিখের ওপর আর ভরসা করতে চায় না বিটিআরসি বা সরকার বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক মো. মিজসবাহউদ্দিন।
এর আগে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রথম সম্ভাব্য তারিখ ছিল গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর। পরে সেটি জানুয়ারি হয়ে ৩০ মার্চ করা হয়। সেটিও পরে পিছিয়ে দেওয়া হয়। এ দিকে দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হওয়ায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা (এস্পেসএক্সের উৎক্ষেপণ প্যাড) যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হচ্ছে না। ২২ জনের একটি প্রতিনিধি দলের ওই সময় যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানান, এখন স্যাটেলাইটটির পরীক্ষা-নিরিক্ষা বেশ ভালোভাবেই হচ্ছে বলে খবর পেয়েছেন তারা। পরীক্ষার অন্তত ৫০ শতাংশ শেষ হয়েছে বলেও জেনেছেন তারা। বাংলাদেশের প্রথম এ স্যাটেলাইট তৈরি করেছে ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস। গত ২৮ মার্চ সেটি ফ্রান্স থেকে ফ্লোরিডায় নেওয়া হয়। তার পরেই শুরু হয়েছে পরীক্ষা।
উৎক্ষেপণের দিন থেকে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের জন্য বরাদ্দ করা ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমায় পৌঁছাতে আট দিন সময় লাগবে। তারপর তিন মাসের পরীক্ষা শেষে আগস্টের দিকে বাণিজ্যিকভাবে স্যাটেলাইটটি ব্যবহারের উপযোগী হবে বলে জনিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।