বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ধনীদের একজন এবং টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠা- বিল গেটস সম্পর্কে এই দুটি তথ্য প্রায় সবাই জানেন। এই মানুষটির জীবন সম্পর্কে চমকপ্রদ ১৪টি তথ্য জেনে নিন যেগুলো হয়তো কখনোই শোনেননি।১. লেকসাইড প্রেপ স্কুলের ছাত্র হিসেবে গেটস একটি জেনারেল ইলেকট্রিক কম্পিউটার প্রথমবারের মতো একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম লেখেন।২. কোডিং বিষয়ে গেটসের মেধা বুঝতে পারে তার স্কুল। তাকে স্কুলের কম্পিউটার প্রোগ্রাম লেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়। তিনি লাজুক স্বভাবের ছিলেন এবং বেশ লজ্জা নিয়ে এসব কাজ করতেন।৩. প্রযুক্তির বহু কর্ণধারের মতো বিল গেটসও কলেজ থেকে বের হয়ে আসেন। ১৯৭৫ সালে তিনি হর্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া চেড়ে মাইক্রোসফট নিয়ে লেগে পড়েন।৪. লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানো ও লাল বাতি না মানার অপরাধে ১৯৭৭ সালে আটক হন গেটস।৫. ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত নিজের কোচে কর চলাফেরা করতেন বিল। পরে নিজের একটি বিমান কিনেছেন।৬. এই বিমানের সঙ্গে তিনি এক মহামূল্যবান সম্পদের মালিক। তা হলো, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির হাতে লিখা কিছু কাগজ। ১৯৯৪ সালে ৩০.৮ মিলিয়ন ডলার দিয়ে এগুলো কিনেছিলেন তিনি।৭. ৮১.১ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মধ্যে তার প্রত্যেক সন্তান মাত্র ১০ মিলিয়ন ডলার করে পাবেন। এতো বিশাল সম্পদ ছেলে-মেয়েদের হাতে তুলে দেবেন না তিনি।৮. বিল কোনো বিদেশি ভাষা জানেন না। এটা তার জীবনের বড় ব্যর্থতার একটি।৯. ১৬০০ নম্বরের ‘স্যাট (এসএটি) পরীক্ষায় বিল গেটস পেয়েছিলেন ১৫৯০ নম্বর।১০. বর্তমানে নিজের ফাউন্ডেশন নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও মাইক্রোসফটের একটি বিষয় নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তা হলো ‘পার্সোনাল এজেন্ট’। এই ডিজিটাল এজেন্ট আপনার যাবতীয় কাজে সহায়তা করবে।১১. যদি মাইক্রোসফট বিফল হতো, তবে সম্ভবত তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে গবেষণা করতেন।১২. ‘আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট’ নিয়ে গবেষণার ইচ্ছা যে মানুষটি করেন, তাকে মাইক্রোসফটে ডাকা হতো ‘সুপার ইন্টেলিজেন্ট’ বলে। প্রযুক্তিকে যারা এগিয়ে নিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে প্রবাদপ্রতীম বলে মনে করা হয় বিল গেটসকে।১৩. তার প্রিয় ব্যান্ড ‘উইজার’। পাশাপাশি ‘ইউ২’ বেশ প্রিয় তার কাছে।