অ্যাপলকে যেমন একনামে চেনে তেমনি তেমনি বাংলাদেশি প্রযুক্তিপণ্য ব্র্যান্ড হিসেবে সারা বিশ্বে ওয়ালটনকে চিনবে সবাই। বিশ্বের অন্যতম কমপ্রেশার আর ফ্রিজ নির্মাতা এখন ওয়ালটন। শিগগিরই ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা ওয়ালটনকে চিনবে সারা বিশ্ব। বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিভিন্ন পণ্য দিয়ে।দ্রুত পরিবর্তনশীল ইলেকট্রনিক্স ব্যবসার বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রত্যয় নিয়ে শেষ হলো ওয়ালটনের চারদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পরিবেশক সম্মেলন।সেখানে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এসএম শামসুল আলম বলেন, ওয়ালটনের লক্ষ্য আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ।
সম্প্রতি উল্লেখযোগ্য পরিমান ফ্রিজ রপ্তানি হয়েছে লেবাননে। প্রবৃদ্ধি এবং রপ্তানির ধারা বেগবানের মাধ্যমে শিগগিরই বিশ্বের শীর্ষ ব্র্রান্ডে পরিণত হবে ওয়ালটন।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ওয়ালটনের প্রবৃদ্ধির বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের হাব বা কেন্দ্র। তারা বলেন, শুধু ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার, সাব-ডিলারই নন, ওয়ালটন পণ্যের সব ক্রেতাই এরগর্বিত অংশীদার; তারা সবাই ওয়ালটন পরিবারের সদস্য। ওয়ালটন ষোলো কোটি বাংলাদেশির প্রতিষ্ঠান। দেশের মানুষের সমর্থন নিয়ে ওয়ালটন এগিয়ে যাবে।
এসএম শামসুল আলম আরো বলেন, একসময় জাহাজ বোঝাই করে ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনারের মত ইলেকট্রনিক্স পণ্য বাংলাদেশে আমদানি করা হত;এখন রপ্তানি হয়। ওয়ালটন দেশেই এসব পণ্য উৎপাদন শুরুর পর এ খাতের আমদানি নির্ভরতাই শুধু দূর হয়নি; এ খাতে বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ।
সম্মেলনে ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এসএম নূরুল আলম রিজভী বলেন, স্থানীয় বাজারে ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্যের পাশাপাশি কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও স্মার্টফোনের মত আইসিটি ডিভাইস উৎপাদন শুরু করেছেন তারা। তিনি বলেন, স্থানীয় আইসিটি পণ্যের ৭০ ভাগ বাজার চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে ওয়ালটন।
মঙ্গলবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার প্রাঙ্গণে দেশ-বিদেশের পরিবেশকদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। এরপর বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের সমাপনী দিনের কার্যক্রম শুরু করেন ওয়ালটন গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইভা রিজওয়ানা, এমদাদুল হক সরকার, হুমায়ূন কবির প্রমূখ।
দেশ-বিদেশ থেকে আসা ওয়ালটনের এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার প্রাঙ্গণ। তারা বিশ্বের লেটেস্ট সব প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয়ে ৫০ টিরও অধিক ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, আইসিটি, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেসের উৎপাদন ইউনিট ঘুরে দেখেন। ওয়ালটনের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রস্ট, ননফ্রস্ট ও স্মার্ট রেফ্রিজারেটর, ইনভার্টার ও স্মার্ট প্রযুক্তির এয়ার কন্ডিশনার, এলইডি টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন, কম্প্রেসারসহ অন্যান্য অ্যাপ্লায়েন্সেসের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে তারা মুগ্ধ হন।
সম্মেলনের সমাপনী দিনে অংশ নেন দেশের ২০ টি জোনের ৮৮৯ জন এক্সক্লুসিভ পরিবেশক। প্রতিটি জোন থেকে সেরা ৩ জন করে সর্বমোট ৬০ জন ডিস্ট্রিবিউটরকে ক্রেস্ট, ট্রফি ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। প্রতি জোনেরএকজনকে সেরা ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবেচ্যাম্পিয়ন এবং দুইজনকে প্রথম ও দ্বিতীয় রানার আপ পুরস্কার গোল্ড কয়েন দেয়া হয়।
চারদিনের এই সম্মেলনে অংশ নেন বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ৬ হাজারেরও বেশি পরিবেশক। সেইসঙ্গে ছিলেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিদেশী পরিবেশকগণ। দেশ-বিদেশের পরিবেশকদের পদচারণায় যা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে রূপ নেয়।
গত ২১ এপ্রিল শনিবার শুরু হয়েছিলো এই ব্যবসায়িক সম্মেলন। যাতে প্রতিদিনই ছিলো মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বিশ্বের শীর্ষ ব্র্যান্ড হবে ওয়ালটন
previous post